‘হিন্দুধর্ম গ্রহণ করলেন তাসলিমা নাসরিন’

হিন্দু মেয়েদের উদ্দেশ্যে তাসলিমা বলেন, “মোল্লাদের চোখের জিনা করার  জন্য সনাতনী মায়েদের উচিৎ লেংটা হয়েরা রাস্তায় ঘোরা।”



কোলকাতা প্রতিবেদক. স্যাটায়ার বাংলা 

হিন্দুধর্ম গ্রহণ করলেন তাসলিমা নাসরিন, খবর ইন্ডিয়া টুডের৷ তিনি তার নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন মনুশ্রী পুটকি।

বেশ কিছুদিন ধরে ফেসবুকে চিন্ময় দাস প্রভূকে নিয়ে লিখতে লিখতে হিন্দুধর্মের প্রতি আলাদা টান অনুভব থেকেই শেষে হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেছেন এই লেখিকা৷ 

এর আগেও বেশ কয়েকবার হিন্দুধর্ম গ্রহণ করার কথা ফেসবুকে শেয়ার করলেও কোন না কোন কারণে তা আর করেননি তিনি।  কিন্তু এবার অফিসিয়াল ঘোষণা এলো লেখিকার কাছ থেকে৷ 

কেন হিন্দুধর্মই গ্রহণ করলেন, প্রশ্ন করলে তিনি জানান, “আসলে হিন্দুধর্ম খুবই শান্তিপ্রিয় ধর্ম। ভারতবর্ষে শত বছর ধরে মুসলিম ও হিন্দুদের বাস, কই কখনো তো কোন দাঙ্গা হলোনা! তাছাড়া হিন্দুদের মতো এত শান্তিপ্রিয় জাতী পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। ভগমবান শ্রী কৃষ্ণ এতই সুদর্শন ছিলেন যে মেয়েরা উনাকে দেখার সাথে সাথে উনার প্রেমে পরে যেতো আমিও তেমনই এক কৃষ্ণ প্রেমে মজে হিন্দু হয়েছি৷ তিনি আর কেউ নন, প্রভূ চিন্ময় কৃষ্ণ।”

“হিন্দু হতে পেদে আমি গর্বিত। মোল্লারা আমাদের কে ধমিয়ে রাকতে পারবে না জয় আমাদেরই হবে। হে ভগবান! চিন্ময় প্রভুকে নাকি জেলখানায় তিনবেলা গরুর মাংস খাওয়ানো হচ্ছে, এসব বন্ধ না করলে ভগবান বিষ্ণুর কোপদৃষ্টি পরতে আর দেরী নেই।” যোগ করেন তিনি৷ 

ভারতের কয়েকটি প্রদেশে হিন্দু কর্তৃক মুসলিম হত...... এসময় প্রতিবেদককে থামিয়ে দিয়ে তাসলিমা বলেন, “এসি বাতেন আব মাত বলনা। চাপ কো তুমারা মুঁহ কি ত্বচা উদেড় দুঙ্গা বাদমাশ! বহান হিন্দুওঁ কা কোই দোষ নয় থা। দোষ সারে বাঙলাদেশী মুসলমানো কা হে। ঊও বাঙলাদেশ মে ব্যাঠকার ভারত মে দাঙ্গা করা রহে থে।”

বাংলাদেশের মুসলিমদের গালাগাল দিয়ে তিনি বলেন, “ তোরা জঙ্গি, তোদের চৌদ্দগোষ্ঠী জঙ্গি। আতঙ্কবাদিওঁ কে সাথ কোই সমঝোতা নাহি করেঙ্গে। পৃথিবীতে যত দোষ সব মুসলিমদের দিয়ে হয়৷ ওরা গরু জবাই দিয়ে দিয়ে মানুষ জবাই করা রপ্ত করে৷ ওদের পৃথিবী থেকে ব্যান করা হোক৷ গরু জবাই মহাপাপ তবে মুসলিম জবাই মহাপূণ্য হরে কৃষ্ণ।” 

হিন্দু মেয়েদের উদ্দেশ্যে তাসলিমা বলেন, “মোল্লাদের চোখের জিনা করার  জন্য সনাতনী মায়েদের উচিৎ লেংটা হয়েরা রাস্তায় ঘোরা। আমরা মুসলিমদের যেকোন উপায়ে ক্ষতি করতে চাই৷ তা তাদের খাটে শুয়ে হোক কিংবা মধ্যপ্রাচ্যে হিন্দু মেয়ে সাপ্লাই দিয়ে হোক। ”

দীর্ঘ পঁয়ষট্টি বছর নির্বাসিত এই লেখিকার বয়স এখন সাতাশি বছর। তিনি এখনো স্বপ্ন দেখেন, কোন এক হিন্দু যুবক তাকে ভালোবেসে বুকে জড়িয়ে চুমু খেয়ে বলবে “ভালোবাসি।” 

আর সে যুবকের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে “জয় শ্রীরাম” মুখে শেষ নিঃশ্বাসটুকু ত্যাগ করতে চান তিনি। 

নবীনতর পূর্বতন