বিক্রম বর্মন নামের ঐ হিন্দু যুবক গত ৪ঠা ডিসেম্বর তার জেঠুর বাড়ির উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা বর্ডার ক্রস করে দেবহাটা গেলে সেখানে কিছু মুসলিম ছেলে তাকে ঘিরে ধরে পরিচয় জানতে চায়৷
বিক্রম বলেন, “অতগুলো লোকের মধ্যে নিজেকে মাছির মতো লাগছিলো। তারওপর আপনি যদি হন ভারতীয় তাহা হইলে পৃথিবীর যেকোন দেশেই আপনার ইস্কামার হিসেবে মাইর খাওয়ার এক সম্ভবনা রহিয়াছে৷ যদি অতগুলো ছেলে আমাকে একটা করেও কিল দেয় তবে হেগে প্যান্ট নষ্ট করা ছাড়া উপায় ছিলো নহে।”
তিনি বলেন, “পরবর্তীতে যখন নাম বলি, টান দিয়া উহারা আমার ধুতি খুলিয়া ফেলাইয়া বুঝতে পারল যে, আমি হিন্দু৷ তখন ওরা আমায় মারতে শুরু করে৷ এক পর্যায়ে তারা খুর আনতে বললে ভয়ে আমি অজ্ঞান হয়ে পরলে জ্ঞান ফিরলে দেখি আমি ঢামেকে৷”
ভারতের ঐ নাগরিক বলেন, “আমি নিচে তাকিয়ে দেখি আমার বান্টুর আগায় বেন্ডেজ লাগানো! পরে এক নার্স কে ডেকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আমার নাকি বান্টুর আগা কর্তন করিয়া লইয়া গিয়াছে!”
কাঁদতে কাঁদতে তিনি স্যাটায়ার বাংলাকে বলেন, “হিন্দুদের গর্ব তার ধোনের আগা, আমার তো সেটাও কেটে নিয়ে গেলো! শুধু কি তাই? আমার পুরুষত্ব নষ্ট করার প্রচেষ্টা চলছে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে। আমি এর কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি চাই! দোষীদের ফাঁসি চাই। কোলকাতা পৌঁছে আমি খবরটা যথা সম্ভব দিল্লি পাঠাইব।”
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি সাতক্ষীরা থানা পুলিশকে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে শীঘ্রই এনিয়ে বিস্তর তদন্ত করবেন বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা মডেল থানার ওসি মহিদুল ইসলাম।