খিদের জ্বালায় দেহব্যবসা কলকাতায়

 ২০২০ সালে শুরু হওয়া কোভিড অতিমারির ধাক্কা তখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্ব। ওই সময়ে এমনিতেই দেশের আর্থিক অবস্থা ছিল নড়বড়ে। তার মধ্যে বাংলাদেশ বয়কটে এখন কৃষকরা নেমেছে মাঠে৷ যেখানে সেখানে বিজেপি দেখলেই হরদম পেটাচ্ছেন কৃষক-শ্রমিকরা।


নিজস্ব প্রতিবেদক | গদি মিডিয়া ইন

বাংলাদেশ বয়কটে  আগুনে পোড়া সেদ্ধ আলু এখন কোলকাতা। আর্থিক পরিস্থিতি ভয়াবহ। দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোটাতে হিমশিম খাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। এই অবস্থায় পেটের জ্বালায় যৌনকর্মীর জীবন বেছে নিচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িতরা।

এক দিকে বড় আর্থিক যোগানদাতা বাংলাদেশ বয়কট শুভেন্দুর, অন্য দিকে ভেঙে পড়া অর্থনীতি। জোড়া ফলার আক্রমণে দু’বেলা দু’মুঠো জোগাতে আমজনতার দফারফা। পেটের জ্বালায় অনেকেই বেছে নিচ্ছেন বেআইনি পথ। বাদ নেই মহিলা চিকিৎসক ও নার্সেরা। সংসারের জন্য দেহব্যবসায় নেমেছেন তাঁদের একাংশ। পূর্ব দিকের প্রতিবেশী মায়ানমারের এ-হেন সামাজিক ও আর্থিক অবস্থা চিন্তায় ফেলেছে নয়াদিল্লিকেও।

আমেরিকার সংবাদ সংস্থা নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিগত তিন-চার বছরে কোলকাতায় যৌনকর্মীর সংখ্যা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশি আয়ের আশায় এই পথে নামছেন মহিলা চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজে শিক্ষিকারা। অধিকাংশই এ কাজ করছেন পেটের জ্বালায়। তবে এ ব্যাপারে কোনও হেলদোল নেই সেখানকার সরকারের। 

২০২০ সালে শুরু হওয়া কোভিড অতিমারির ধাক্কা তখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্ব। ওই সময়ে এমনিতেই দেশের আর্থিক অবস্থা ছিল নড়বড়ে। তার মধ্যে বাংলাদেশ বয়কটে এখন কৃষকরা নেমেছে মাঠে৷ যেখানে সেখানে বিজেপি দেখলেই হরদম পেটাচ্ছেন কৃষক-শ্রমিকরা।

দেশের এই দুর্বিষহ অবস্থার কথা নিউ ইয়র্ক টাইমসের কাছে তুলে ধরেছেন সদ্য চিকিৎসার ডিগ্রি পাওয়া বছর ২৬-এর কোলকাতার তরুণী ঋতু। তাঁর কথায়, ‘‘৪১৫ ডলার হাতে থাকলে মুহূর্তে তা উবে যাবে। ওই টাকায় আজকাল আর জল পর্যন্ত গরম হচ্ছে না। পরিবারের নিত্য দিনের খরচ চালানোই দায়! আমাদের কাছে রোজগারের একমাত্র রাস্তা হল যৌন ব্যবসা।’’

চলতি বছরে ডলারের নিরিখে দুই-পঞ্চমাংশ দর কমেছে ভারতের স্থানীয় মুদ্রা ‘রুপি’-এর। বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশটির অর্ধেকের বেশি নাগরিক দারিদ্রসীমার নীচে চলে গিয়েছেন। ২০১১-’২১ সালের মধ্যে চলা কংগ্রেস সরকারের আমলে সাবেক ভারতে একটি মধ্যবিত্ত শ্রেণি তৈরি হয়েছিল। ওই শ্রেণির জনসংখ্যা ৫০ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।

নবীনতর পূর্বতন