পুলিশ বলছে, লালু পাটনি (২২) নামে এক যুবক, যিনি হয়তো নিজেকে “গোমাতা প্রেমিক” হিসাবে ভাবতেন, মাঠে পাঁচ মাসের এক গরুর সঙ্গে নৃশংস আচরণ করেছেন। অভিযোগকারীর নাম গোবর দেশাই, যার কাজই গরু চরানো এবং গোবরের রাজত্ব পরিচালনা করা। তিনি অভিযোগ করেছেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজের গরুটিকে এমন অবস্থায় দেখতে পেয়ে হতবাক হয়ে যান।
দেশাই বলেন, “টিভিতে এসব ঘটনার কথা শুনেছি। কিন্তু ভাবিনি, আমার প্রিয় গরুটিকেই এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। আমার মনে হয়, এখন গোয়ালঘরেও সিসিটিভি লাগানোর সময় এসেছে।”
এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লালু পাটনিকে গ্রেফতার করে। গরুর অধিকার রক্ষায় গুজরাটের আইন ব্যবস্থাও সক্রিয় হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, পশুদের এমন দুর্দশা দেখে গোমাতা ভক্তদের নীরবতা কি ঘুমন্ত জাতীয়তাবাদেরই প্রমাণ?
উল্লেখ্য, এর আগে হরিয়ানার এক থানার ভেতরে পূর্ণবয়স্ক ছাগল ধর্ষণের ঘটনাও শিরোনাম হয়েছিল। সেখানেও অভিযুক্ত ছিলেন আইনরক্ষাকারী এক কনস্টেবল। সম্ভবত, ভারতের পশুরা এখন মানবাধিকার সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণের অপেক্ষায়!