বাংলাদেশের মামলাকে ভারতীয় মিডিয়া সাজাল উগ্রপন্থার গল্পে! 'রিপাব্লিক বাংলা'র নাটক কি সত্যি, নাকি প্রোপাগাণ্ডার নতুন ফাঁদ?
![]() |
গ্রাফিক্স: স্যাটায়ার বাংলা |
নিবন্ধন লিখেছে: চ্যাটজিপিট
বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন? বিজেপির নতুন নাটক ও ভারতীয় মিডিয়ার অবস্থা!
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন হচ্ছে বলে সম্প্রতি ভারতের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কিছু ভারতীয় মিডিয়া যা প্রচার করছে, তা সত্যি বলতে একেবারে হাস্যকর। এটি এমন এক নাটক, যেখানে তথ্যের বদলে শুধুই কল্পনা আর সস্তা প্রচারণা চলছে। বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন হওয়ার চেয়ে বরং মোদী সরকারের গোপন চুল ছিঁড়েই ভারতের 'সাংবাদিকতা'র আজ এই দশা!
আসুন, একে একটু গভীরভাবে ইন্ডিয়ান মিডিয়া আর তাদের ছোটলোকি দেখি:
১. নাটকীয় মিডিয়া কৌশল:
ভারতীয় মিডিয়া, বিশেষত BJP-ঘনিষ্ঠ কিছু মিডিয়া, কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে যদি তাদের 'ভয়ঙ্কর' সংবাদ প্রচার করতে চায়, তবে বাংলাদেশে "হিন্দু নির্যাতন"টাই একমাত্র পছন্দের গল্প। গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় মিডিয়া এভাবেই যেন বাংলাদেশের দিকে আঙুল তুলতে উঠেপড়ে লেগেছে, যেখানে বাস্তবে কোনো সমস্যা নেই। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না, বরং হাজার হাজার হিন্দু পরিবার চমৎকারভাবে তাদের জীবনযাপন করছে, কিন্তু তাদের চোখে 'টিআরপি' বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের ‘পিসফুল ন্যারেটিভ’ ভাঙতেই হবে।
(তথ্যসূত্র: The Daily Star, Dhaka Tribune).
২. শুভেন্দু অধিকারী - রাজনৈতিক নাটকের পাকা পরিচালক:
শুভেন্দু অধিকারী, যিনি নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার 'কল্পনা' ও 'প্রোপাগান্ডা'র উপর দাঁড়িয়ে আছেন, এখন বাংলাদেশে ‘হিন্দু নির্যাতন’ নিয়ে চিৎকার করছেন। একেবারে যেন 'ভবিষ্যদ্বাণী' করছেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের অবস্থা এত খারাপ, যে তারা দিন কাটাতে পারছে না! আসলে, শুভেন্দু সাহেবের উদ্দেশ্য খুব পরিষ্কার—তাঁর রাজনৈতিক মর্যাদা রক্ষা করতে এবং জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তিনি এই গল্পের বাছাই করেছেন। এবং অবশ্যই, ভারতীয় মিডিয়া সেই 'চলচ্চিত্র' মঞ্চে একেবারে সেরা অভিনেতা হতে ছুটে চলে এসেছে।
(তথ্যসূত্র: Hindustan Times, NDTV).
৩. মিডিয়া, কোথায় তোমার সততা?
ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এভাবে উস্কানি দিতে গিয়ে মূলত নিজেদের অযোগ্যতা ও পক্ষপাতিত্ব তুলে ধরছে। যখন আমাদের দেশের জনগণ একে অপরের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বাস করছে, সেখানে মিডিয়া আর রাজনৈতিক নেতারা একসাথে বসে একটি 'শিল্পী' কল্পনা তৈরি করছে, যা তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য—অযথা উত্তেজনা ছড়ানো। ভারতের জনগণকে যে এমন মিথ্যা দেখানো হচ্ছে, তাতে তো মনে হচ্ছে তারা এখনো একটা 'ভুয়া সন্ত্রাসবাদ' বা 'ভূতের রাজ্য' নিয়ে বসে আছেন।
(তথ্যসূত্র: BBC News, Al Jazeera).
৪. বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান:
বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে, আর আমাদের সংবিধানও তাদের অধিকার নিশ্চিত করেছে। হ্যাঁ, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে, কিন্তু এগুলো কোনো ধর্মীয় নিপীড়ন নয়, বরং এসব কখনো রাজনৈতিক বা সামাজিক অস্থিরতার ফলস্বরূপ। এর পেছনে শুভেন্দুর যে হাত নেই তাও অস্বীকার করা যায় না। ভারতের মিডিয়া যদি সাম্প্রদায়িক আন্ডা না পেনর আরেকটু মাথা ঠাণ্ডা করে এসব বিষয় দেখতো, তাহলে বুঝতে পারতো যে এখানকার সাধারণ মানুষ, ধর্ম নির্বিশেষে, শান্তিতে বাস করতে চায়। আর যখন হিন্দু সম্প্রদায় নিরাপদে বাস করার আপ্রাণ চেষ্ট করছে তখন কেন ভারতীয় মিডিয়া আর শুভেন্দু অধিকারী মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে বসে আন্ডা পারছে?
(তথ্যসূত্র: The Independent Bangladesh, The Daily Star).
৫. ভারতের জনগণকে বিভ্রান্ত করার মাস্টারপ্ল্যান:
কিন্তু সবচেয়ে বড় হাস্যকর বিষয় হচ্ছে, ভারতের জনগণকে বিভ্রান্ত করা। শুভেন্দু ও ভারতীয় মিডিয়া কি ভারতের জনগণকে বিশ্বাস করতে বলছে যে বাংলাদেশের হিন্দুরা উল্টো পায়ের উপর দাঁড়িয়ে রাস্তায় হাঁটছে, এবং তাদের ওপর শ্বাসরুদ্ধকর নির্যাতন চলছে? এখানে তো প্রায় অর্ধেক জনগণ এখনো জানেন না যে বাংলাদেশে কোথায় হিন্দুরা বাস করছে! ভারতীয় মিডিয়া যদি একটুও মিথ্যা বলতে না শিখত, তাহলে তাঁরা হয়তো বাংলাদেশের পরিস্থিতি একটু ভালোভাবে বুঝতে পারত—এখানে একে অপরকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দিয়ে বসবাস করা হয়।
রিপাব্লিক বাংলা: মিথ্যার ফ্যাক্টরি
ভারতীয় চ্যানেল ‘রিপাব্লিক বাংলা’ এবং তাদের সমগোত্রীয় মিডিয়া যেমন ‘টাইমস নাও’, ‘আজতক’ ইতিমধ্যেই এই মামলাকে একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে তুলে ধরতে শুরু করেছে। তাদের বক্তব্য শুনলে মনে হবে, মামলার ২৯ আসামির মধ্যে কেউ কেউ মনেহয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে "উগ্রপন্থী কার্যক্রমের পরিকল্পনা" করছিল।
তারা এমন একটা ন্যারেটিভ গড়ে তুলছে, যেন বাংলাদেশের আদালতে যে কোনো ঘটনা ঘটলেই সেটা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার ওপর হুমকি। হাস্যকর ব্যাপার হলো, তাদের রিপোর্টে প্রমাণের কোনো বালাই নেই। বরং তারা নিজেদের গালগপ্পোকে "এক্সক্লুসিভ ব্রেকিং নিউজ" হিসেবে উপস্থাপন করছে।
বিজেপি সরকারের উদ্দেশ্যপূর্ণ নীরব সমর্থন
বিজেপি সরকার একদিকে এই মিথ্যা প্রচারকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, অন্যদিকে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে নিজেদের রাজনৈতিক এজেন্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। বিজেপির নেতারা ইতিমধ্যেই এই মামলাকে "বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান উগ্রপন্থার প্রমাণ" বলে উল্লেখ করেছেন।
তাদের বক্তব্যে বোঝা যায়, তারা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতাকে আঘাত করে নিজেদের দেশে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ বাড়াতে চায়।
মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডার নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য
ভারতীয় মিডিয়া ও বিজেপি সরকার মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এমন প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর মূল উদ্দেশ্য দুটি:
-
বিজেপির ব্যর্থতা আড়াল করা:
ভারতের অর্থনৈতিক সংকট, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, এবং অব্যবস্থাপনার কারণে জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ চাপা দিতে বিজেপি সরকার ও মিডিয়া বাংলাদেশের বিষয়কে সামনে নিয়ে আসছে। -
দক্ষিণ এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তার:
বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরে দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করছে। এ ধরনের প্রচারণা আসলে ভারতের আঞ্চলিক আধিপত্যবাদী মানসিকতার প্রতিফলন।
ভারতীয় মিডিয়ার রিপোর্টিং: বাস্তবতা থেকে শত যোজন দূরে
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ একটি মামলা নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার রিপোর্টিংয়ের ভাষা ছিল নিম্নরূপ:
- "বাংলাদেশ এখন উগ্রপন্থার গড় হয়ে উঠছে।"
- "মামলার আসামিরা ভারতের ওপর সরাসরি আঘাত হানার পরিকল্পনা করছে।"
- "বাংলাদেশ সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ।"
তারা এমনভাবে পরিস্থিতি উপস্থাপন করেছে, যেন বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে বাধ্য।
বাংলাদেশের প্রতি ভারতীয় মিডিয়ার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় মিডিয়ার এ ধরনের আচরণ নতুন নয়। এর আগেও তারা রোহিঙ্গা সংকট, পদ্মা সেতু নির্মাণ, এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক আন্দোলনকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছে।
- রোহিঙ্গা সংকট: তারা এটিকে এমনভাবে দেখিয়েছে যেন পুরো বিষয়টি বাংলাদেশের ব্যর্থতা।
- রাজনৈতিক আন্দোলন: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে তারা নিজেদের আঞ্চলিক আধিপত্য বজায় রাখতে চেয়েছে।
সত্য-মিথ্যার সীমা পেরিয়ে ট্র্যাজিক কমেডি
ভারতীয় মিডিয়ার কর্মকাণ্ড এখন এমন একটি জায়গায় দাঁড়িয়েছে যেখানে সত্য-মিথ্যার ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে তারা কেবল নাটক সাজিয়ে যাচ্ছে। তাদের রিপোর্ট এখন স্যাটায়ারের উপযুক্ত উপাদান হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মিথ্যাচারের ধাঁধা: ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ মামলার খবরকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছে যেন তা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার হুমকি। তাদের রিপোর্টে তথ্যের অভাব এবং একপেশে বিশ্লেষণ স্পষ্টভাবে দেখায় যে তারা কেবল এক পক্ষের সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষতি: ভারতীয় মিডিয়া ও সরকারের এই ধরনের মিথ্যাচার বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থা নষ্ট করতে পারে। এটি শুধু দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি করছে, বরং দক্ষিণ এশিয়ার সামগ্রিক শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্যও হুমকি।
বিজেপির রাজনৈতিক এজেন্ডা: বিজেপি সরকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যাকে নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। এমনকি তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের পক্ষে অবস্থান নিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি বিকৃত করে উপস্থাপন করছে, যাতে ভারতীয় জনগণের নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে রাখা যায়।
মিডিয়ার দায়িত্বহীনতা: ভারতীয় মিডিয়া এখন যে কোনো সংবাদকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে, যার ফলে জনগণ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে। খবরের সঠিকতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার পরিবর্তে তারা উগ্রবাদী মনোভাব তৈরি করে দেশবাসীকে ভুল বুঝাচ্ছে।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিপদ: ভারতীয় মিডিয়ার এমন আচরণ তাদের নিজেদের গণমাধ্যম স্বাধীনতা এবং সঠিক সংবাদ পরিবেশন করার মূল দায়িত্বের প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা শুধুমাত্র সরকারের পক্ষ থেকে চাপ না আসা নয়, বরং এটি জনগণের স্বার্থে সত্য এবং নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করাও জরুরি।
অবশেষে, আমাদের পাঠকদের প্রতি একটি অনুরোধ—যতটা সম্ভব ভারতীয় মিডিয়ার প্রোপাগান্ডায় বিভ্রান্ত না হয়ে, নিজেদের মধ্যে হাস্যরসাত্মকভাবে এসব খবরের মূল্যায়ন করুন।
শেষ কথা:
একটা কঠিন কথা বলে শেষ করি:
ভারতের পাশের দেশ পাকিস্তান খারাপ, চীন খারাপ, নেপাল খারাপ, ভুটান খারাপ, শেষমেষ বাংলাদেশও খারাপ! পৃথিবীর একমাত্র ভালো দেশই ভারত৷ নিষ্পাপ চাড্ডিদের দেশ৷
ভারতীয় মিডিয়া এবং বিজেপি সরকারের উচিত নিজেদের দেশ নিয়ে ব্যস্ত থাকা। কারণ, তাদের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ সমস্যা এখন চরম পর্যায়ে। ডলারের রেট সর্বনিম্ন। বাংলাদেশ তার নিজস্ব বিচারব্যবস্থা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিচালনা করতে সক্ষম। কোনো ধরনের মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা ছড়িয়ে ভারত বাংলাদেশের স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করতে পারবে না।
মিথ্যার বেসাতি বেশি দিন টেকে না। সময় এসেছে ভারতীয় মিডিয়ার এই ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়ার এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের দায়িত্বহীনতার বিষয়টি তুলে ধরার।
তথ্যসূত্র:
-
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা:
বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনি কাঠামো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদিও কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে, সেগুলো সাধারণত ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক বিরোধের কারণে হয়, ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে নয়।
(তথ্যসূত্র: The Daily Star, "Bangladesh’s commitment to minority rights"). -
ভারতীয় মিডিয়ার ভূমিকাঃ
ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশের বাস্তব চিত্র না দেখিয়ে প্রায়ই অতিরঞ্জিত সংবাদ পরিবেশন করে। এই ধরনের সংবাদ সাধারণত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তৈরি হয় এবং এগুলোকে যাচাই ছাড়াই প্রচার করা হয়।
(তথ্যসূত্র: Al Jazeera, "Fake news about minority oppression in South Asia"). -
শুভেন্দু অধিকারীর উস্কানিমূলক বক্তব্য:
শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন, যা ভারতীয় রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ সৃষ্টি করতে পারে।
(তথ্যসূত্র: NDTV, "BJP leader's controversial remarks spark debate"). -
বাংলাদেশে সহাবস্থান:
বাংলাদেশে বহু বছর ধরে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতির সংস্কৃতি এখনও শক্তিশালী।
(তথ্যসূত্র: The Independent Bangladesh, "Religious coexistence in Bangladesh"). -
বিচ্ছিন্ন ঘটনার প্রকৃত কারণ:
যেসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, তার পেছনে রাজনৈতিক বিরোধ, জমি-সংক্রান্ত মামলা বা ব্যক্তিগত শত্রুতা প্রধান কারণ। ধর্মীয় নিপীড়নের প্রশ্ন ওঠে না।
(তথ্যসূত্র: Dhaka Tribune, "Analyzing the roots of communal tensions in Bangladesh").
লিংক
-
The Daily Star (Bangladesh)
Daily Star - Minority Rights in Bangladesh
তাদের ওয়েবসাইটে সংখ্যালঘু অধিকার ও ধর্মীয় সহাবস্থান নিয়ে নিবন্ধ পাওয়া যায়। -
NDTV (India)
NDTV - Shuvendu Adhikari Controversial Statements
বিজেপি নেতাদের সাম্প্রদায়িক বক্তব্যের খবরের জন্য NDTV নির্ভরযোগ্য। -
Al Jazeera (Global)
Al Jazeera - Religious Coexistence in Bangladesh
ভারতীয় মিডিয়ার ফেক নিউজ ও বাংলাদেশের ধর্মীয় পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্লেষণ পাওয়া যায়।