ঐ সূত্র আরো বলেন, “প্রভূ যুক্ত ছিলেন ডার্ক ওয়েবে। সেখানে বেশকিছু চাইল্ড পর্ণ রিলেটেড সাইটের সাথে প্রভূর যোগাযোগ হত। জানি না, এই টাকার উৎস সেসব নাকি”
বিশেষ প্রতিবেদন. গদি মিডিয়া ইন
ইসকনের প্রভাবশালী জেলবন্দি শিশুকামী প্রভু চিন্ময় কুমার দাসের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২০০ কোটির বেশি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভক্তদের মধ্যে শুরু হয়েছে বিস্ময়ের ঢেউ। কেউ বলছে, "এ তো ভক্তদের দান!" আবার কেউ বলছে, "প্রভুর আরাধনায় এসেছে এই ঐশ্বরিক ধন।" কেউ আবার বলছেন, নিশ্চয়ই এ টাকা এসেছে চাইল্ড পর্ণ বিষয়ক ডার্ক ওয়েব থেকে।
আরো দেখুন:
গুজরাটে গরু ধর্ষণের দায়ে গ্রেফতার যুবক
নিউইয়র্কে ভারতীয় ব্যক্তির প্রকাশ্যে মলত্যাগ!
ইসকনের এক সদস্য নাম না জানানোর সূত্রে জানায়, চিন্ময় প্রভু সম্প্রতি "ডিজিটাল ভক্তি ফান্ড" নামে একটি উদ্যোগ চালু করেছিলেন, যেখানে অনলাইনে ভক্তরা ভগবান কৃষ্ণের নামে দান করতেন। তবে এই ফান্ডের হিসাব এত বিশাল আকারে ফুলে উঠবে, তা কেউ কল্পনাও করেনি।
ঐ সূত্র আরো বলেন, “প্রভূ যুক্ত ছিলেন ডার্ক ওয়েবে। সেখানে বেশকিছু চাইল্ড পর্ণ রিলেটেড সাইটের সাথে প্রভূর যোগাযোগ হত। জানি না, এই টাকার উৎস সেসব নাকি”
এক ভক্ত বললেন, "আমরা তো শুধু কৃষ্ণপ্রেমে দান করেছিলাম। প্রভু এত টাকার মালিক হয়ে গেলে আমরা মন্দিরে কি ভক্তি করব নাকি তার জন্য গাড়ি কিনব?"
এদিকে চিন্ময়ের নির্যাতনের স্বীকার হওয়া এক শিশু নাম না জানানোর সূত্রে বলেন , “গোয়া ঢিলা হয়ে গিয়েছে। প্রথমে আমাদের পয়সার লোভ দেখাতো পরে আমাদের সাথে খারাপ কাজ করে আর পয়সা দিত না। ”
বিষয়টি নিয়ে জেল হাজতে থাকা চিন্ময় দাস মিডিয়াকে বলেন, "এই অর্থ ভগবানের। আমি শুধু তার সেবক। একদিন ভগবান স্বপ্নে এসে আমাকে দান করেছেন। তবে যারা আমাকে নিয়ে সন্দেহ করছে, তাদের প্রভু কৃষ্ণ বিচার করবেন।"
টুইটারে একজন লিখেছেন, “চিন্ময় প্রভু, আপনার কাছে যদি ২০০ কোটি থাকে, তবে আমাদের জন্য কিছু প্রসাদ পাঠান!”
ব্যাংকিং সেক্টরে এমন বিপুল পরিমাণ অর্থের অস্বচ্ছ প্রবাহ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তদন্তের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে ভক্তরা বলছে, "এ তো ভক্তদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। এর মধ্যে অন্য কিছু খোঁজার দরকার নেই।"
শেষমেশ প্রশ্ন রয়ে গেল—এই ২০০ কোটি টাকার আসল উৎস ভক্তি, ব্যবসা, নাকি চাইল্ড পর্ণের কোন গোপন সূত্র?