শেয়ারবাজারে কেলেঙ্কারির বেপারে জিজ্ঞেস করলে আতকে উঠে বিশিষ্ট এই আহলে হাদীস বলেন, “ শিয়ার বাজারটা আবার কি? এই জিনিসের নাম এই প্রথম শুনলাম৷ ”
গদিবেদক. গদি মিডিয়া ইন
বৃহত্তর আওয়ামিলীগের নন্দিত কথা বন্ধু, বিশিষ্ট দরবেশ, পাকিস্তান হইতে মেট্রিকুলেশন পাস করা বেক্সিমকো বেবসায়ী, সনামধন্য আহলে হাদীস সালমান ফজলুর রহমান বাংলাদেশী বলেছেন, “আমার কুনো পাপ নাই; আমি আহলে হাদীস।”
গতকাল ‘আদালতে’ জজের সামনে এই কথা বলেন তিনি৷
তিনি আরো বলেন, “গত ষুলো সতারো বছরে নিজের বেবসার বাইরে একটি টাকাও আমি সড়াইনি, দুর্নীতি কি আমি বুঝিনা। আমার আবার লুভটা কম৷ লুভে পাপ, পাপে বাচ্চার বাপ৷ আমি তো বাংলায় পড়তেই জানিনা, টেকা সড়াইবো কিবা? নিজের মায়নার টেকা আহলে হাদীসের জন্য দান-খয়রাত করেছি৷ আর যখন হাসিনার উপদেষ্টা হইলাম, তখন তো মায়না নেয়াই ছাড়লাম, ফ্রী ফ্রী সারভিস দিয়েছি৷”
ঘোঁৎঘোঁৎ করে কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, “আমি শুধু সজীব অজেদ জয় কে সাহাইয্য করেছি। দুসরোঁ কি মাদাদ করো ইস তারাহ,খুদা ভি হমেশা তুমহারে সাথ রহেগা ইয়াহাঁ। এক ছোটি সি মুসকান জো কিসি কে হোঁঠোঁ পে লায়, তুমহারে হার গম কো দূর কর জায়। এই দুনিয়ায় সাহাইয্য সহযগিতা করলেও দুষে পরতে হয় তা আমার জানাই ছিল, তাও করেছি। উপকারের বালাই নাই, সজীব আমার কুনো খুঁজ নিতেছে না। কোন লবিস্ট ধরিয়া আমার জামিন করাইতে পারত৷ আমার কাজ হইল অষুদ বানান আর বেচা, করতামও তাই। কিন্তু কুন শয়তানে পাইল সজীব কে সহযগিতা করতে গেলাম!”
শেয়ারবাজারে কেলেঙ্কারির বেপারে জিজ্ঞেস করলে আতকে উঠে বিশিষ্ট এই আহলে হাদীস বলেন, “ শিয়ার বাজারটা আবার কি? এই জিনিসের নাম এই প্রথম শুনলাম৷ শেয়ার বাজার ক্যা কুছ ভি ম্যাঁ নেহি সমঝতা, কভি শেয়ার নেহি খরিদা। শেয়ারে মে ব্যাবসা কিয়া হ্যায়, বাজার নেহি কিয়া।”
হাত কচলাতে কচলাতে দরবেশ বলেন, “বেক্সিমকো নিয়া আমার আশার শেষ ছিলনা, এই প্রতিষ্ঠান বিশ্বের এক নম্বর অষুদ বানায়৷ সব অবদান আমার৷ আওয়ামিলীগের আমলে বেবসা করেছি মাগার টেক্স দেইনাই, এমপি মন্ত্রীদের আবার টেক্স কিসের? এই সরকার চাইলে আমার সহিত হাত মিলাইতে পারে। সবাইকে সহী পদ্ধতিতে বেবসা শিখাইব৷ তাতে ওদেরও কিছু হইল, আমিও মুক্তি পাইয়া মুক্তভাবে আবারও বেবসা শুরু করলাম৷ ”