দুই দেশের মিডিয়া এটিকে 'মৈত্রীর সিম্বলিক গাঁটছড়া' হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ভারতীয় পক্ষ থেকে দান করা হয়েছে একাধিক ট্রেন, আর বাংলাদেশি পক্ষ উপহার দিয়েছে বিশাল ইলিশ।
![]() |
বিয়ের এই ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় |
বিশেষ প্রতিনিধি. স্যাটায়ার বাংলা
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি সাম্প্রতিক সরকারবিরোধী আন্দোলনের চাপে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, এবার নতুন চমক দিলেন। গতকাল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি!
বিয়ের আয়োজন হয় দিল্লির রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায়। গোপনীয়তার মধ্যেই অনুষ্ঠিত হয় অনুষ্ঠানটি। ভারতীয় মিডিয়া একে 'রাজনৈতিক মৈত্রীর চূড়ান্ত রূপ' বলে আখ্যা দিয়েছে। হাসিনা বিয়ের কালে লাল শাড়িতে আর মোদী তার চিরাচরিত মোদী-কুর্তায় হাজির হন।
আরো দেখুন:
আমাকে তো খেয়ে দিয়েছে: খুনী হাছিনা
পালিয়ে ভারতে, এরপর বিয়ে! হাসিনা-মোদীর অপ্রত্যাশিত গাঁটছড়া
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, "মোদীর এ পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা আনবে।" অন্যদিকে, বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
বিয়ের পর হাসিনা বলেন, "আমি এতদিন ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে মজবুত করেছি, এবার ব্যক্তিগতভাবে সেই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চাই।"
![]() |
মোদী হাসিনার ফুলসজ্জার ছবি | ছবি: নরেন্দ্রে মোদীর টুইটার |
মোদী তার ভাষণে বলেন, "বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হাসিনার পাশে থাকবো। তবে এখন থেকে শুধু সিলেটের ইলিশ আমদানি করলেই হবে না, সঙ্গে আসাম পর্যন্ত ট্রেন চালু রাখতে হবে।"
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, "এখন বোঝা যাচ্ছে কেন হাসিনা গণতন্ত্রকে দমন করছিলেন। তিনি আসলে তার 'সুন্দর ভবিষ্যৎ' নিশ্চিত করছিলেন!"
বিয়ের ছবি আর ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় বয়ে যায়।
এক নেটিজেন মন্তব্য করেন, "বাংলাদেশের রাজনীতির এমন তামাশা আগে কখনো দেখিনি।"
আরেকজন লিখেছেন, "এবার কি বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য হতে চলেছে?"
বিশ্ব নেতারা এ ঘটনায় অবাক হলেও সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে গুজব রটেছে, হাসিনা-মোদীর এই বিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন চুক্তির সূচনা করবে।
দেখা যাক, এই অপ্রত্যাশিত বিবাহ কেবল 'রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজি' নাকি এর পেছনে রয়েছে আরও গভীর কোনো উদ্দেশ্য। দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ অপেক্ষায় আছে, এই নতুন দম্পতি কী চমক দেখাবে!