ঐ ফসিল নিরীক্ষণ করে জানা যায়, ডাইনোসরটির চোয়াল এমনভাবে সুসংগঠিত ছিলো যে, ঐ চোয়াল থেকে বেরুনো ধ্বনী কেবল “জয় শ্রী রাম” হয়েই বের হওয়ার যোগ্য।
![]() |
রামের যুগের একটি ডাইনোসর| ছবিঃ কাল্পনিক |
বৈইগান ডেস্ক. গদি মিডিয়া ইন
বিহারের গুহায় খননকাজে পাওয়া বিশাল আকৃতির এক কঙ্কাল নিয়ে হইচই পড়ে গেছে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পিউর সনাতনী সায়েন্স (IIPSS) এর এক গবেষণায় মিলেছে এমন সত্য। গবেষণা থেকে জানা যায়, পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকেই ছিলো হিন্দুধর্ম। এই পৃথিবীর প্রতিটা বালুকণা সনাতনী। কেবল ভারত নয়, সারা পৃথিবীর প্রতিটা কোণায় কোণায় রাম নাম জপ হত৷
বৈইগান সম্পর্কিত আরও:
পার্কার সোলার প্রোব সূর্যের বুকে আবিষ্কার করল জয় শ্রী রাম ধ্বনী!
ঐ ফসিল নিরীক্ষণ করে জানা যায়, ডাইনোসরটির চোয়াল এমনভাবে সুসংগঠিত ছিলো যে, ঐ চোয়াল থেকে বেরুনো ধ্বনী কেবল “জয় শ্রী রাম” হয়েই বের হওয়ার যোগ্য। এছাড়াও খুলি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় সে খুলিগুলো পুরানে উল্লেখিত এক বিশেষ প্রাণীর সাথে মিলে যায়, যেসব প্রাণী ত্রেতা যুগে ভগবান রামের সাথে মিলে অসুরদের সাথে লড়াই করেছিল৷
![]() |
বিহারে পাওয়া সনাতনী ডাইনোসরের ফসিল |
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পিউর সনাতনী সায়েন্স (IIPSS)-এর গবেষক ডঃ পিকে শর্মার মতে, "পশ্চিমা বিজ্ঞানীরা সব মিথ্যা বলে। ডাইনোসররা ঘাস খেত না, তারা প্রসাদ খেত। রামের ঐসময়ে সবচেয়ে বেশি খেত তিরুপতির লাড্ডু। আর সেসব ডাইনোসররা রামের জন্য লড়াই করত। যেইসব ডাইনোসরদের 'জুরাসিক পার্ক'-এ দেখানো হয়, ঐ সবগুলোই ছিলো প্রাচীন হিন্দুসেনা।"
এমন আবিষ্কারে খুশি হয়েছে রাজ্য সরকার, খুশি ধরে না অমিত শাহেরও৷ আনন্দে গদগদ করে অমিত শাহ বলেন, “কি? দিয়েছি না? একদম আবিষ্কার করে স্যাটা ভেঙে দিয়েছি না? আর কোন কথা হবে না, এখন শুধু মনপ্রাণ দিয়ে সনাতন চালিয়ে যেতে হবে৷ আমাদের মনে রাখতে হবে, ভারতের প্রিয় সাবজেক্ট বৈগান। আমরা যেমন প্রাচীন কালেও বৈইগানের সাথে যুক্ত ছিলাম এ যুগেও সনাতন ছাড়া বৈগানের কোন দাম নেই।”
এমন খবর চাউড় হলে নিশ্চয়ই যোগী আদিত্যনাথ বসে নেই, তিনি সারা রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছেন এই আবিষ্কারের কথা৷ এমনকি তিনি তার রাজ্যে ১০ দিন সেলিব্রেশন ছুটি ধার্য করে গদি মিডিয়াকে বলেন, “আমরা আর বসে নেই৷ আমরা আপাতত কাজ করে যাচ্ছি৷ একটি স্পেসক্রাফট শনিতে পাঠিয়েছি, পার্কার সোলার প্রোবেও ইসরোর ভাগ রয়েছে। আমরা এই মহাজগতের কোণায় কোণায় সনাতন খুঁজে বের করব৷ সনাতন এমন প্রাচীন ধর্ম যে হয়তোবা মহাকাশেও পাওয়া যেতে পারে সনাতনী কোন সংকেত৷ আমি সর্ব ভারতীয়দের বলতে চাই আরো বেশি বেশি গোমূত্র পিনা। যত পান তত বিজ্ঞান। জয় বাংলা!”
এদিকে গুজরাটের এক আশ্রমে ইতিমধ্যেই ডাইনোসরের পূজা শুরু হয়ে গেছে। মন্দির কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন, "আমাদের ভক্তি জগতের জন্য এটি বড় আবিষ্কার। প্রাচীন যুগের রামভক্ত ডাইনোসরদের মূর্তি আপাতত বানানো শেষ, কালকে থেকেই এর অফিসিয়াল পূজো শুরু হয়ে যাবে।"
তাহলে কি "জুরাসিক ওয়ার্ল্ড"-এর পর এবার "সনাতনী ওয়ার্ল্ড"? আপাতত, আমরা সবাই মিলে শুধু বলি, "জয় শ্রী রামাসোরাস!"