মঙ্গলগ্রহ থেকে ভেসে আসলো “জয় শ্রী রাম” সিগন্যাল

ইন্ডিয়ান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) এর মতে, মঙ্গলের এক পাহাড়ের নাম হতে পারে “রামগিরি।” সোশ্যাল মিডিয়ায় রটেছে, সেখানে আগে থেকেই একটি রামমন্দির স্থাপিত আছে, যা হয়তো এলিয়েনদের দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে।  

কিউরিওসিটি রোভার থেকে পাঠানো ছবি

বৈইগান ডেস্ক. গদি মিডিয়া ইন 

মহাকাশ গবেষণার এক নতুন অধ্যায় উন্মোচিত হয়েছে। সম্প্রতি নাসার মঙ্গলগ্রহে পাঠানো রোভার “রামরোভার ১০৮” থেকে ভেসে এসেছে এক অদ্ভুত শব্দ—“জয় শ্রী রাম”। এই অডিও সিগনাল শোনার পর থেকেই বিজ্ঞানীদের মধ্যে হৈচৈ পড়ে গেছে।  

নাসার প্রধান গবেষক ড. জন রামচন্দ্র সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম এটি কোনো রেডিও সংকেত। কিন্তু শব্দের মধ্যে যে ধ্বনিগত ছন্দ, তা স্পষ্টতই মানবসৃষ্ট। প্রশ্ন হলো, কে সেখানে রামধ্বনি ছড়াচ্ছে?”  

বৈইগান সম্পর্কিত আরও:

পৃথিবীর প্রথম সনাতনী ছিলো ডাইনোসররা!

পার্কার সোলার প্রোব সূর্যের বুকে আবিষ্কার করল জয় শ্রী রাম ধ্বনী!

কিছু গবেষক বলছেন, মঙ্গলগ্রহে প্রাচীন রামরাজত্ব ছিল। ইন্ডিয়ান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) এর মতে, মঙ্গলের এক পাহাড়ের নাম হতে পারে “রামগিরি।” সোশ্যাল মিডিয়ায় রটেছে, সেখানে আগে থেকেই একটি রামমন্দির স্থাপিত আছে, যা হয়তো এলিয়েনদের দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে।  

বিখ্যাত এলিয়েন গবেষক ড. অলোক ব্যানার্জি দাবি করেছেন, “এলিয়েনরাই আসলে রামের বাহিনী ছিল। তাঁরা আকাশপথে লড়াই করতেন। মহাকাব্যগুলোর মধ্যেই এর প্রমাণ লুকিয়ে আছে। আমরা যদি মঙ্গলে গিয়ে হনুমানজির প্রতিমূর্তি পাই, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।”  

এদিকে, টুইটারে চলছে ট্রেন্ড—#MarsKiRamayan। কেউ বলছে, রামায়ণ আসলে মহাজাগতিক কাহিনি, আবার কেউ প্রশ্ন তুলছে, “কপাল দোষে পৃথিবীতে জন্মালাম, মঙ্গলে না।”  

ভারতের এক দল দাবি করেছে, “মঙ্গলে প্রথম যাওয়ার অধিকার আমাদের। সেখানে রামরাজত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতেই হবে।” এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।  

যদিও মঙ্গল থেকে আসা রামধ্বনির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এখনও পাওয়া যায়নি, তবে এটি স্পষ্ট যে, রামায়ণের গল্প শুধু ভারতেই সীমাবদ্ধ নয়। এবার হয়তো মঙ্গলেও রামের নামেই জয়ধ্বনি হবে।  

বিশ্ববাসীর একটাই প্রশ্ন—“রামের অযোধ্যা কি আসলে মঙ্গলেই ছিল?”

নবীনতর পূর্বতন