বিজিবির সাথে ধুতি পরে টেটা সমেত যুদ্ধ ঘোষণা করল ভারতীয়রা

এদিকে এ বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ দেখিয়েছে ওপার বাংলার রাজনীতির প্লেবয়, হিন্দুধর্মের রক্ষক, যিনি না থাকলে হিন্দুধর্ম নামক কোন ধর্মের অস্তিত্ব থাকতনা, রামসেনা, টিকি ধারী  শুভেন্দু অধিকারী।


গতকাল বাংলাদেশের বিজিবির সাথে যুদ্ধরত অবস্থায় বিএসএফ কমান্ডার

কলকাতা প্রতিনিধি. গদি মিডিয়া ইন 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে ভারতের কাঁটাতারের অবৈধ বেড়া নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মধ্যে দুইদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।এরই উত্তেজনায় ভারতীয় সিমান্তের জনগণ ধুতি পরে টেটা ও লাঠি বন্দুক নিয়ে যুদ্ধ নেমেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে রয়টার্স। ক্রমশ সে যুদ্ধ আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে৷ যেকোন সময় সীমান্তে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তলগ্ন জনগণ৷ 

 ভারতীয় সীমান্তলগ্ন একজন বলেন, “লুঙ্গী পরে ট্যটা নিয়ে এসেছি। ধুতি এমন ভাবে বেঁধে এচেছি দাদা টানলেও খুলবে না মাইরি। ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর অনামবিক ধুর ছাতা অনাবমিক হ্যাঁর বাড়া অমানবিক নির্যাতন হচ্চে, এ আর মেনে নেয়া যায় না দাদা। হয় ধম্মের জন্য মরবো নাহয় এছব ম্লেচ্ছদের মেরে নরকে পাঠাব৷ তারা বলে আমরা ননকি অবস্থা বেগতিক দেখলে লুঙ্গী মাথায় দিয়ে হুগা বের করে পালাইব। হা হা হা! বিনা যুদ্ধে নাহি দেবো সুচাগ্র মেদিনী মাইরি! যদিও কথাটা একদম ফেলবার নয় দাদা।  আমাদের কাছে ত আর অস্ত্র নেই যে ফাইট দেব। নিজেদের সেনাদের ইস্টামিনা যোগাইতে আসিয়াছি৷ আসিয়াছি বললে ভুল হবে জুর করি টানিয়া নিয়া আসিয়াছে। অকাল মৃত্যু কে চায় বলুন?”

এদিকে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া নিয়ে বিরূপ মনোভাব দেখিয়েছে বাংলাদেশে সীমান্তে থাকা লোকজনও। আব্দুল হালিম নামক একজন গদি মিডিয়া ইন কে বলেন, “বরাবর নামিনাই। এইবার তো সীমালঙ্ঘন হচ্ছে৷ বিএসএফ এর পুটকিত নাই দম লাঠি ভাঙ্গিবার যম! গতবার তো লাশ ফিরাইয়া দিয়াছিলুম, এইবার আর কোন লাশও ফেরৎ যাইবে না। এইপাশে মাগুর মৎসের ফার্ম করিয়াছি৷ ”

আরও:

পৃথিবীর প্রথম সনাতনী ছিলো ডাইনোসররা!

পার্কার সোলার প্রোব সূর্যের বুকে আবিষ্কার করল জয় শ্রী রাম ধ্বনী!

এদিকে এ বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ দেখিয়েছে ওপার বাংলার রাজনীতির প্লেবয়, হিন্দুধর্মের রক্ষক, যিনি না থাকলে হিন্দুধর্ম নামক কোন ধর্মের অস্তিত্ব থাকতনা, রামসেনা, টিকি ধারী  শুভেন্দু অধিকারী। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ওপার বাংলা হতে তিনলক্ষ হাতে টানা রিক্সা সীমান্তে এচেছে শুনেচি। আমরাও ধুতি পরা কিছু লোককে হাতে দা নিয়ে পাঠিয়েচি৷ এবার যা হবার একটা হয়ে যাবে৷ হয় পোঁদ বাঁচাবো নয় আত্মহত্যা। এইসব আর দেখতে পারার মতোন নয় গাণ্ডু ৷ আর কত অনাচার সহ্য করব আমরা বাঁড়া? পশ্চিমবঙ্গ হতে আমরা যদি মুতে দেইনা ভেচে যাবে ওপার বাংলা! ছুতরাং যা করো ভেবে চিন্তে করো মাইরি৷  প্রতিবার জল ছেড়ে দিয়ে হতচ্ছাড়াদের তো প্রমাণ দেখিয়েই দিই। তারপরেও ঠিক হচ্ছে না৷ তবে এবারে একটা কথাই বলব, বেশি বাড় বেড়ো না ঝড়ে পরে যাবে অতি ছোট হয়োনা ছাগলে মুড়ে খাবে৷ ছবাইকে এবার দেখে নোবো৷ ”

৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, সোমবার সকালে ভারতের মালদহ জেলার কালিয়াচক থানার সবদলপুর বিএসএফ কাম্পের সদস্যরা সীমান্ত ঘেষে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ শুরু করলে বিজিবির পক্ষ থেকে বাধা দেয়া হয়। এরপর সোমবার বিকেলে উভয়পক্ষের মধ্যে পতাকা বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি।

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার আবারও বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ শুরু করলে বিজিবি বাধা দেয়। এতে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। উভয় বাহিনীই সর্তকাবস্থানে রয়েছে বলে জানান তিনি।

নবীনতর পূর্বতন