বিটকয়েন কিনেছি, ধরা পরার কুনো চান্স নাই: নাহিদ ইসলাম

হু হু করে কাঁদতে কাঁদতে সেডবয় নাহিদ বলেন, “আমি নাহিদ মাথা গোঁজার ঠাঁই ছাড়া একদম ফকির টাইপের মানুষ। 

বিট কয়েন নাহিদ

গদিডেস্ক. গদি  মিডিয়া ইন

সম্প্রতি কাজ কুজের হিসাব না দিয়া পদতেগ করেছেন বর্তমান সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ওরফে বেড বয় নাহিদ। 

সাড়ে ছয়মাস তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা থাকিয়া কুন কুন কাজ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, “পূর্বে ইহার দায়িত্ব ছিলো পলকের উহার মতো আমি পুকুর চুরি করিনাই। এই সাড়ে ছয়মাসে কুথাও একা একা ইন্টারনেট বন্ধ হয়নাই। একা একা ইন্টারনেট যাহাতে অফ না হয় সে নিয়া বেপক তারতোর জুড়া দিয়াছি। এই সাড়ে ছয়মাসে সাড়ে পুনারো বছরের তার জোরা দিতে দিতে অন্য কুনো কাজে আর ইনভলভ হতে পারিনাই। ”

আবেগঘন কণ্ঠে নাহিদ বলেন, “আই এম নট পলক, আই এম অলসো নট জব্বার কাকু। সুতরাং প্রজেক্টের পর প্রজেক্ট দেখাইয়া ইনকামেরও কুনো সুযোগ ছিলো নহে৷ ”

হু হু করে কাঁদতে কাঁদতে সেডবয় নাহিদ বলেন, “আমি নাহিদ মাথা গোঁজার ঠাঁই ছাড়া একদম ফকির টাইপের মানুষ। জিকির করি, যেইখানে যাই সেইখানে ঘুমাই। আমার একাউন্টে কেবল দশলক্ষ টেকা ছিলো, এই দশলক্ষ টেকা কুনো টেকা আপনারাই বলেন? আমার বেংকে টেকা নাই, সম্পত্তি নাই, এমনকি দুনিয়াদারিতেও কিছু নাই। ”

উল্লেখ্য উপদেষ্টা হওয়ার আগে তার কোনো বেংক অ্যাকাউন্ট ছিল না, তবে বাইনেন্সে কিসের যেন একটা একাউন্ট ছিলো৷ এক হাউয়ামিলীগ কর্মী বলেন, “নাহিদ সেখানে কুটি কুটি টেকাটুকা ভরিয়া বিট কয়েন খরিদ করিয়াছে। বিট কয়েন খরিদ করিলে উহা ধরিবার কুনো উফায় নাই।  ”

এ বিষয়ে নাহিদ বলেন, “বিট কয়েন, বাইনান্স এসবের নাম আমি আগে কুনোদিনও শুনিনাই৷ ফেছিবাদী হাছিনার লেসপেন্সার গুলা ভূয়া সব ইশকিনশট দিয়া আমার বদনাম করিতে নামিয়াছে৷ মুননি বদনাম হুয়ে ডারলিন তেরে লিয়ে৷ বর্তমানে আমার একাউন্টে আছে মাত্র ১০ হাজার ৬৯৮ টাকা! ইহা দিয়া জেক ডেনিয়েলসের একটা হুইস্কিও হওয়ার সম্ভবনা নাই৷ ”

তবে নাহিদের এমন পুস্টে হতভম্ব হাউয়ামিলীগ। এক হাউয়ামিলীগ কর্মী এখন তাদের মত প্রকাশের আদর্শ যদিও আগে এখানে কেউ হাউয়ামিলীগের বদনাম করিলে ঠিকানা খুঁজিয়া রামদা নিয়া কুপাইয়া আসিত সেই ফেছবুক পিলাটফর্মে বলেন, “ নিশ্চয়ই কুনো না কুনোভাবে পয়সা সড়াইয়াছে। বাংলাদেশে এত সৎ নাই, বাংলাদেশে একমাত্র সৎ যদি কেহ থাকে তা মুজিবের বেটি হাছিনা৷  বাংলাদেশে এতু সৎ লুক উপদেষ্টা থাকলে, দেশ সিঙ্গাপুর হওয়ার বদলে সোনাগাছি কেন হইল?”

 এদিকে নাহিদের টেকাটুকার প্রশ্নেই থামিয়া নাই অন্তর্জাল বাসী, তাদের আসল প্রশ্ন, “এই কয় মাস উপদেষ্টা হইয়া নাহিদ কাহার বাল ছিড়িয়াছেন?”

এ প্রশ্নের জবাবে গুডবয় নাহিদ বলেন, “উপদেষ্টারা কি তুমাদিগকে দেখাইয়া উয়ার্ক করবে? গুবনে গুবন গুবন কাজ এতই গুবনে করিয়াছি যে নিজে কি করিলাম উহাই এখনো গুবনে আছে মনে করিতে পারছি নহে৷ এই কমাসে খালি চিয়ার গরম করতে থাকিনাই। অপারেটরদের টাইট দিয়া ইন্টাররেট ও কলে শুল্ক বাড়াইয়া যা হাজার টাকায় খরিদ করিতে হইত তা এগারোশো টাকায় উন্নিত করেছি৷

জনগণকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়িয়া দিয়া ওই সেডবয় বলেন, “ অপারেটররা আমাদের ভাই বিরাদার উহাদের দুঃখ না দেখালে হুদাই চিয়ারে বসছি? তা ছাড়া ফেসবুকে দৈনিক নতুন পুষ্ট করাও তথ্য উপদেষ্টারই কাজ৷ সুতরাং কিছু করিনাই কুন লজ্জায় বলের? ”

ক্ষুব্ধ এক নাগরিক নাহিদ ইসলামকে কাউন্টারে ফেলিয়া বলেন,“উপদেষ্টার কুনো কাজ কামের চিহ্ন নাই। প্রতিদিন কষ্ট করিয়া পুস্ট লেখাও পরিশ্রম। তবে ফেসবুক পোস্টই যদি নতুন ট্রেন্ড হয়, তাহলে ভবিষ্যতে উপদেষ্টা পদে শুধু ফেসবুক কন্টেন্ট ক্রিয়েটররাই বসবে!”

বিস্তারিত আসছে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন