এবার চাঁদের বুকে দেখা গেলো বঙ্গবন্ধুর মুখ!

গতকাল রাত তিনটার দিকে তাকে চাঁদের বুকে টোবাকো পাইপ হাতে দেখা যায়৷

শ্রী শ্রী শেখ মুজিবরের চেহেরা দেখা গেলো চাঁদে
চাঁদের বুকে বড় স্বৈরাচার বঙ্গবল্টু

বিশেষ গদিবেদক. গদি মিডিয়া ইন

এবার পাকিস্তানের সাবেক পোঁদবন্ধু, প্রথম মার্ক্সবাদী ইসলামিক দল জামায়েতে ইসলামির অন্যতম প্রভাবশালী নেতা, আওয়ামিলীগ কর্তৃক রজাকার খেতাব কৃত নায়েবে আমীর, পীর কুলের শিরোমণি, শিবির কর্তৃক প্রফেট খেত মৃত দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর নেয়, গোপালগঞ্জের গোপালি, টান বাজারে চশমার খাপ ফেলে আসা, ছোট স্বৈরাচার দ্বারা মানুষের বদদোয়া প্রাপ্ত বড় স্বৈরাচার শ্রী শ্রী শেখ মুজিবরের চেহেরা দেখা গেলো চাঁদে৷ 

গতকাল রাত তিনটার দিকে চাঁদের বুকে সাবেক স্বৈরাচার পাইপ মুজিবকে চে গুয়েভারাকে নকল করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়া সেই টোবাকো পাইপ হাতে দেখা যায়৷

নাম না জানানোর সূত্রে পলায়ন প্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন গদি মিডিয়াকে জানান, “গতকাল রাতে আমার নিম্নমুখী চাপের কারণে এপিঠ ওপিঠ করতেছিলাম। ভেবেছিলাম এভাবে শুয়ে বসে থাকলে হয়ত পেটের হাগু পেটেই শুকাবে। কিন্তু কিছুক্ষণ কষে চেপে ধরে রাখার ফলে যে বায়ুর উর্ধ্বচাপ ঘটে উহা আর ঠেকিয়ে রাখতে পারিনাই। নিজের বায়ুর গন্ধ নিজে শোঁকা যায় কিন্তু অন্যে তো আর উহা সহ্য করিবে না৷  ফলত লেপের তলায় থাকা বন্ধুটি আমাকে ‘শান্তির ছেলে’ বলে গালাগাল করে পোঁদের ওপর লাথ মেরে বাইরে পাঠিয়ে দেয়৷ পোঁদে লাথ খেয়ে আরো চাপ বেড়ে যায়। বাইরে নেমে অকারণ বশত হঠাৎ চাঁদের দিকে তাকিয়ে আশ্চর্য হয়ে যাই! চাঁদের দিকে তাকিয়ে সুবহানাল্লাহ জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর পবিত্র চেহেরা মুবারক দেখতে পাই! এমন মিরাকল দেখবো কখনো ভাবিনাই। যেন সে চেহেরা থেকে নূর ঠিকরে পরছিল৷ আশ্চর্য চাঁদের বুকে বঙ্গবন্ধু রহমাতুল্লাহি আলাইহি কে পাইপ হাতে দেখে আমার বেরিয়ে আসা হাগা পেটে ব্যাক চলে যায়৷ ”

চাঁদের বুকে মুজিব
চাঁদের বুকে স্বৈরাচার

কেবল ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেনই নন গতকাল মুজিব কে চাঁদে দেখেছেন আরো অগণিত মানুষ। দেখেছেন হারপিক খেত মজুমদার বংশের ছোট ছেলে খাইস্টা নিঝুমও৷ একটি মুঠোফোন বার্তায় খাইস্ট নিঝুম বলেন, “জয় বাংলা, এবার মৌলবাদীরা কুতায় পালাবি? গতকাল রাতে আমি চাঁদে বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি৷ প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। সাথেসাথে আমি আরাফাত কে ফোন দিলে আরাফাতও এর সত্যতা নিশ্চিত করেন৷ এ ঘটনা যারা বিশ্বাস করবে না উহারা আউলাদে রাজাকার৷ ”

আবেগঘন কণ্ঠে হারপিক বলেন, “ আমাকে অবিশস বঙ্গ করলেও নাছা অবিশ্বাস করার কুনো সুযগ নাই৷ বঙ্গবন্ধু কে কেবল বেঈমান জাত বাঙালী চিনিল না৷ অথচ আকাশের চাঁদ তাহাকে চিনিয়া ফেলিল৷ নাছা তাহাকে চিনিয়া ফেলিল। গতকাল রাতে একটি এডাল্ট ছিনেমা দেখার পরে বেপক হর্ণি হয়ে আমি এক মেয়ের ইনবক্সে হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার কথার লিখলে মেয়েটি আমাকে ‘ক্ষাণকির ছেলে ট্রাকের তলায় পইরা মরগে’ বলে গালাগালি দিলে মনে খুবই কষ্ট পাই৷ মেয়ে মানুষ ছেলদের কষ্ট দিয়ে সি সুখ পায় জানিনা। মেয়েটির ঠুসঠাস ইনিক্সে জুতান পিটান খেয়ে সাথেসাথে রিদয় খানের সেড গানটা ফোনে প্লে করি ‘এতকিছু বোঝ আর মন বোঝোনা’ এরপর ভরপেট মদ গিলে আত্মহত্যা করতে ছাদে চলে যাই৷ আর যাইহক জুতার পিটান খেয়ে বেঁচে থাকার কুনো মানে হয় না৷ ”

চাঁদের কোলে স্বৈরাচার
চিত্রঃ চাঁদের কোলে স্বৈরাচার

হুহু করে কাঁদতে কাঁদতে হারপিক মজুমদার বলেন, “বিল মাহের বলেছেন, “সুইসাইড ইজ ম্যানস উয়ে টু টেলিং গড, ইউ কেনট ফাইয়ার মি।” ফলত আকাশের দিকে তাকিয়ে খুদাকে কিছু বলতে গিয়ে আশ্চর্য হয়ে গেলাম। চাঁদের বুকে এ কার মুখচ্ছবি? প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিলো র খেয়েছি পানি মিশাতে মনেনাই৷ চোখ ডলিয়া এগেইন তাকিয়ে দেখলাম ঠিকই তো আছে মালের কুন দুষ নাই৷  সাথে সাথে কয়েকজনকে ফুন করলে তারা আমাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ”

আবেগে কাঁপতে কাঁপতে টকমারানি নিঝুম বলেন, “বিলিভ মি, বঙ্গবন্ধুকে আমি এই নিজের চখে চাঁদের বুকে দেখেছি। একটা কটি পরিধান করা বিশেষ পাইপ মুখে স্পষ্ট মুজিবকে দেখেছি। ”

বঙ্গবল্টু সেটেলাইট
বঙ্গবল্টু সেটেলাইট

চাঁদের বুকে বঙ্গবন্ধুকে দেখার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন খোদ মুজিবরের মেয়ে ছোট স্বৈরাচার খেত শেখাছিনা। এক বিবৃতিতে আওয়ামিলীগ জানায়, সামনের বছর চাঁদে মুজিবের স্ট্যাচু নির্মাণ করা হবে৷ যেই টেকটুকা নিয়ে তার কন্যা দেশত্যাগ করেছে উহাতে চাঁদে কেন চাইলে মিল্কিওয়ের বাইরেও চাইলে মুজিবের স্ট্যাচু নির্মাণ করা যাবে৷ 

এদিকে চাঁদের বুকে বঙ্গবন্ধুর মুখ দেখা নিয়ে গবেষণা করা শুরু করে দিয়েছেন নাছার বিজ্ঞানীরা। “হয়ত আওয়ামিলীগের আমলে তৈরীকৃত বঙ্গবন্ধু সেটেলাইট থেকে কুনো কারণে তরঙ্গ গিয়ে চাঁদের গায়ে আটকে পরায় এমন ঘটনা ঘটতে পারে” ইতোমধ্যেই বলেছেন নাছার চাঁদ গবেষক টীম। 

নবীনতর পূর্বতন