ভেলেন্টাইন ডে তে ফরহাদ মজহার কে শরিয়ত মেনে নিকাহ করব: ফরিদা আখতার

হাসতে হাসতে লুংগি বলেন,“ফরিদা আমাকে অনেক বিয়ের চাপ দিয়েছে জীবনে৷ তখন আমার বয়স হয়নি, সবে লালন নিয়ে নাড়াচাড়া করছি।
ফরিদা আখতার ও লুংগি মজহার
বেগুন ফরিদা ও লুংগি

বিশেষ গদিবেদক. গদি মিডিয়া ইন 

শরীয়ত মতাবেক কলেমায় শাহাদত পাঠ করে ‘কবুল’ উচ্চারন পূর্বক নিকাহ করার প্রতিজ্ঞা করলেন বিশিষ্ঠ কবি, দার্শনিক ও হেকিমী চিকিৎসক, হেফাজতের সুফী শাখার নায়েবে আমির  নও মুসলমান ফরহাদ মজহার লুংগি  ও বিশিষ্ঠ নারী নেত্রী, কৃষি আন্দলন কর্মী, বেগুন বিশেষজ্ঞ ও ইউসুব সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা  ফরিদা আখতার।

বুধবার রাতে প্রধান উপদেষ্টা ডামু. ইউসুবের সামনে শপথ বাক্য পাঠ করার মাধ্যমে ফরিদা আখতার ও লুংগি মজহার এই প্রতিজ্ঞা করেন৷ 

ডামু ইউসুব বলেন, “নিকাহ না করিয়া একই সাথে দিনগুজরান অবৈধ৷ ফরিদা আখতার লুংগির সাথে তো কেবল দিন গুজরানই করেননাই রাতও গুজরান করেছেন। ফলে বেপারটা ডবল অবৈধ৷ ইসলাম সম্মতও নহে। আমারই উপদেষ্টা হয়ে কেউ আইন চুষিয়া বেড়াক আমি তা চাই না। আইন সর্বাঙ্গে সমান, লাইনে আসুন।”

ফরিদা আখতারের সংগে যোগাযোগ করা হলে আবেগঘন কণ্ঠে তিনি গদি মিডিয়া কে জানান— “ লুংগি আমাকে বেবহার করেছে৷ লুংগি আমাকে বিভিন্ন পামপট্টি দিয়া অনেক বছর আগে গৃহে এনে বন্দি করেন। এরপর থেকে বহুবার বহুভাবে তাকে শরিয়া মোতাবেক কবুল বলার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছি কিন্তু লুংগি কখনো আমার কথা কনে তুলেনি৷ সবসময় বলেছে, মনের কবুল বড় কবুল৷”

আবেগঘন কন্ঠে ফরিদা বলেন, “ লুংগি আমাকে বেবহার করেছে৷ জানিনা লুংগির ফাঁদে পরে কত পাপ করেছি৷ আর পাপের মধ্যে নাই৷ বয়সের দুইকাল গিয়া এককালে ঠেকেছে৷ আর বেশিদিন বাঁচার অ কুনো আশংকা নাই। এখন আর উচ্ছে, বেগুন পটলের ফলন নিয়ে বসে থাকলে হবেনা। কোনমতে পটল তুলিলে নিকাহর বেপারে ওপারে ফেরেশতারা তো আর লুংগি-মুংগি বুঝবেনা। আমার জীবনে লুংগি একটি পাপ৷ সুতরাং পাপকে আমি পূণ্য করে নেবো আর তা এই সামনের ভেলেন্টাইনসে। শরিয়া মোতাবেক তিন কবুল বলার মাধ্যমে আমাদের হালাল নিকাহ সম্পন্ন হবে৷ আপনাদের দাওয়াত। ”

শরিয়া মোতাবেক নিকাহতে কেন দেরি ও ভেলেনটাইনসে বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে গদিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে লুংগি বলেন, “ আমি নিকাহ করেছি মার্কসবাদ, আমি নিকাহ করেছি ভাসানিবাদ। সুতরাং ফরিদাকে নিকাহ করার সময় হইয়া ওঠেনাই। আর নিকাহ যে করতেই হবে এমনকিছু মার্কসবাদে নেই। লেনিনও এ বিষয়ে কিছু না বললেও এঙ্গেলস সামান্য কিছু হয়ত বলেছে৷ তাই সবদিক বিবেচনা করে এত দেরি৷”

হাসতে হাসতে লুংগি বলেন,“ফরিদা আমাকে অনেক বিয়ের চাপ দিয়েছে জীবনে। বিয়ে করলে কোবিতা লেখা যায় না৷ তখন আমার বয়স হয়নি, সবে লালন নিয়ে নাড়াচাড়া করছি।  প্রস্তুতিও ছিল না। এখন মোটামুটি বয়স হয়েছে, গবেষণাও শেষ, ধর্মের পথেও এসেছি সুতরাং সামনের ভেলেন্টাইনস স্মরনীয় করবো। তবে আরো কিছু বছর গেলে হাড্ডি ভালো করে পাঁকলে হয়ত শরিয়া মুতাবেক ভালো নিকাহ করতে কোন সমস্যা হত না৷ সমস্যা একটাই, ভেলেন্টাইনস এহুদি নাছড়াদের কালচার। ”

উপরের দিকে হাত তুলে লুংগি বলেন, “আমি দাড়ি রেখেছি, কুরান হাদীছ পাঠ করি,  নামাজও মাসে দু-এক রাকাত পড়ি। আর বেভিচারে লিপ্ত হওয়ার ইচ্ছা নাই। মোটকথা আমি লাইনে এসেছি। ”

নবীনতর পূর্বতন