হুহু করে কাঁদতে কাঁদতে চুদির্ভাই অর্ণব বলেন, “আমার কুনো দুষ নাই৷ ঐ আপুর বুকে উড়না ছিলোনা উনার স্তন দেখিয়া আমি আমার ঈমান দণ্ড আর নুয়াইয়া রাখিতে পারিনাই।
![]() |
দুদু পীর অর্ণব |
গদিডেস্ক. গদি মিডিয়া ইন
কারাগার থেকে জামিনে বের করে গলায় মালা পরিয়ে বিশিষ্ট ইভটিজার, ইভিটজার কূল শিরোমণি; ওড়না না পরিধান করিয়া নারী কুলের স্তনের দিকে ফ্যালফ্যাল করিয়া তাকাইয়া থাকা পটেনশিয়াল রেইপিস্ট বিশিষ্ট দুদু গবেষক দুদু মিয়া অর্ণব কে স্বাগত জানালেন বই মেলায় প্যাডের দুকানে গেঞ্জাম করে গেঞ্জামের খাতায় নাম ওঠানো মব ক্ষাণকির পুলায়েদের দল তৌহিদি জনতা।
![]() |
হিজাবি আপুদের সাথে সুন্নতি প্রক্রিয়ায় সেলফি তুলেছেন দুদু পীর |
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে ঢাবির প্রাঙ্গনে অর্ণব এক যুবতীকে দেখিয়া নিজের ঈমান বজায় রাখিতে না পারিয়া হেন্ডেল মারিবার উপক্রম হইলে উক্ত নারীকে ‘হিগাব কই ম্যাগী’ বলে গালাগালি করার পর ঢাবি প্রশাসন দুদু অর্ণবের কানের নিচে দুদুটো চোপার মারিয়া চাকরি হইতে অন্ধকারে নিক্ষেপ করে।
চারদিকের মাইরের ভয়ে হুহু করে কাঁদতে কাঁদতে চুদির্ভাই অর্ণব বলেন, “আমার কুনো দুষ নাই৷ ঐ আপুর বুকে উড়না ছিলো না। আমি উনাকে উড়না কিনে দেওয়ার অফার করেছিলাম । উগনা ছাড়া উনার বুকে উনার স্তন দেখিয়া আমি আমার ঈমান দণ্ড আর নুয়াইয়া রাখিতে পারিনাই। এত বলিলাম, খানকিরপুলা নুইয়া যা, নুইয়া যা কিন্তু বিধিবাম কুনো রিকোয়েস্ট শালার ঈমান দণ্ড রাখিল না। তাহাকে আমি এত রিকুয়েষ্ট করার পরেও যখন শুনিতেছিলেন না ভাবলাম হয়ত ফুটানকির জন্য অতবড় পার্টস রাখিয়াছে, পার্টস তো এখন মেয়েদের ফেশন।”
হুহু করে কাঁদতে কাঁদতে দুদু পীর বলেন, “ ভাবছিলাম হয়ত টেকাটুকা নাই কিন্তু মুখ ফুটিয়া বলিতে পারেন না। পরে আমি শাহাবাগ হইতে গুলিস্তান গিয়া দেড়শ টেকার উড়না কিনিয়া আনিয়া পরতে বললাম। উপকারের বালাই নাই ধরিয়া আনুন পুটু মারি৷ আমার বেলায়ও হইল তাই। আমি উনাকে হেলপ করিতে চাইলাম কিন্তু উপকার করিতে চাহিয়াও আমি দুষি৷ বলেন এইখানে আমার দুষ কোথায়?”
![]() |
অর্ণবকে দুদু পীর হিসেবে স্বীকৃতি দিলো আরেক পীর আব্বাসিও৷ |
নাম না জানানোর সূত্রে ঢাবির ছাত্র মুহাম্মদ ওবায়দুল গদি মিডিয়াকে জানান, “আমি ক্বওমী মাদ্রাসার ছাত্র৷ পুটুর বেথা কি জিনিস আমি বুঝি৷ পুটুর বেথাই প্রধান বেথা। এক কনস্টেবল হইতে জানিতে পারি, দুদু মিয়াকে যাবজ্জীবন আসামীদের সেলে ঢুকাই পুটুতে টর্চারের শাস্তি দিয়েছেন ওসি সাহেব৷ সুতরাং অর্ণবকে বুড়া বান্টু কর্তৃক এমন নির্যাতনের স্বীকার হওয়া হইতে বাঁচাইতে আমরা মিছিল নিয়া থানায় ঢুকিয়া পরি৷ ”
উল্লেখ্য দুদু পীরকে গ্রেফতার ও পুটুর শাস্তির ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে থানা ঘেরাও করে, সর্বজন স্বীকৃত ক্ষাণকির-পুলায়েদের দল তৌহিদি জনতা।
দুদু অর্ণবকে কারামুক্ত করে তাকে পীর হিসাবে ঘোষণা দেয় তৌহিদি মব ওরফে স্বীকৃত ক্ষাণকির পুলায়েদের দল৷
এক তৌহিদি জনতা এ বিষয়ে গদি মিডিয়া ইন কে বলেন, “অর্ণব আমাদের মনের কথাই বলিয়াছি৷ মাইয়াদের দুদু দেখানো হারাম। হারাম কাজে নিষেধ করা ইসলামে পাপ৷ ইসলাম শান্তির ধর্ম, এ ধর্মে পুরুষদের কোন বাঁধা নিষেধ নাই৷ থাকলেও উহা পালন করা বাধ্যগত নহে৷ অর্ণব হুজুর আমাদের মনের কথা বলিয়াছেন৷ মনেমনে আমরা প্রত্যেকে একেকটা দুদু। মেয়েদের বুক মানেই দুদু। মেয়েদের বুক দেখলেই মনেহয় দুদু দেখছি৷ ”
এদিকে দুদু অর্ণবকে পীর ঘোষণা করে এক তৌহিদি জনতা বলেন, “অর্ণবকে দুদু পীর হিসাবে স্বীকার করছি। তিনি আমাদের চক্ষু খুলিয়া দিলেন। এমুন করিয়া খুব কম লুক আমাদের চক্ষু খুলিতে পারে৷ সুতরাং অর্ণব সাহেবকে আজিকা হইতে আমরা পীর সাহেবের মতো সম্মান করিব৷ তাছাড়া বাংলাদেশের অন্যতম পীর এনায়েতুল হক আ্ব্বাসী সাহেবও অর্ণবের সহিত কুলাকুলি করিয়া প্রমাণ করিলেন, দুদু পীর আসলেই পীর হইবার যোগ্য।”
অর্ণবের দরবার শরীফের জন্য চাঁদা তোলা হচ্ছে বলেও জানান তিনি৷