“যে কুনো সময় পদতেগ করিব”
জ্যেষ্ঠ্য প্রতিবেদক. স্যাটায়ার বাংলা
পদত্যাগ করবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পাওয়ার পাওয়া আইন উপদেষ্টা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ওরফে আসিফ নজরুল৷
তবে কবে পদত্যাগ করবেন এমন কোন নির্দিষ্ট তারিখ বলেননি তিনি৷ স্যাটায়ার বাংলার সাথে আলাপকালে নজরুল ইসলাম বলেন, “যে কুনো সময় পদতেগ করিব। বউ বাচ্চা লইয়া এমেরিকা দৌঁড়াইব৷ হয়ত তিন বছর পরে নয়ত ত্রিশ বছর পর ইনশাল্লা পদতেগ আমি করিবই করিব৷”
হালকা গজানো মোসে হাত বুলাতে বুলাতে নজরুল ইসলাম বলেন, “মানুষের আমার সাথে সম্পর্ক খারাপ হইল কিসে বুঝি নহে৷ এর আগে যেসব মানুষ আমাকে দেখলে বাপের অবদান ভুলিয়া “নজ্জুল ছাড়, নজ্জুল ছাড়” বলিত আজকে উহারা ইনবক্সে “চুদিচ্ছেলে” বলে গালাগাল পাইরতেছে৷ এইসব হইতাছে দুই টেকার উবার ডিরাইবার লিবিয়া হইতে অবৈদ ভিসায় ইতালির ভেনিস থেকে প্রত্যাখ্যাত হইয়া পালিয়ে আমিরিকার ইলিয়াস ডিরাইবার আর ইসরায়েলের কোম্পানিতে চারকি করা নব মুসলিম পিনাকী ভোটকাচার্যের ষড়যন্ত্র। আমাকে নরম পাইয়া গরম জায়গায় হস্তের আঙ্গুল ঢুকাইয়া নাড়ানাড়ি করিতে ইহারা মজাই পায়। জানিনা পরের পুটু খোঁচাইতে কিসের এত মজা?”
হুহু করে কাঁদতে কাঁদতে ২০২৪ সালের মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু বলেন, “তাহারা ভাবতেছে আমি টেকাটুকা সব মারিয়া খাইতেছি৷ মনে রাখবা, বনগোবন্দু কখনো টেকার লোভ করে না। আমি প্রচুর কাজ করি, উহার পরেও আমাকে নিয়ে মানুষের এত খাইজ্জা খাইজ্জি অথচ কেরানির মতো সারাটা দিন খাটি। কুত্তাও অত খাটে না৷ মানুষ গরু দিয়া অত হালও চাষ করায় না, যত চাষ আমাকে করিতে হয়। এইদিকে ঠেঙের বয়সী এক মেয়েকে বিবাহ করিয়াছি — সে মেয়ে অহেতুক নাক, কান সব বন্ধ করিয়া ঘরের দরজা বন্ধ করিয়া অভিমানে নাক ফুলাইয়া থাকে। বুঝিনে — তাহার অভিমান ভাঙাইব নাকি দেশের উন্নতি করিব!”
বউয়ের দেয়া রুমালে চোখ মুছতে মুছতে তিনি বলেন, “আমি অসহায় হয়ে পরেছি৷ ফারুকীকে আনলাম, বল্লাম 'সংস্কৃতি কর।' তা কারো সহ্য হইলনা৷ আরে বাবা নাটক-ফাটক ওয়ালারা দুই এক টোপলা গাঁজা খাইবে না তো কি মামুনুল হক খাইবে? এরপর দুদকে নিজের পরিচিত ঢুকাইলুম, তাহা নিয়াও সমালোচনা। শাখাওয়াতরে তো আগেই খাইল। আমি যাহাকেই ঢুকাই তা লইয়াই সমালোচনা হয়। তেহেলে একটা কাজ আমি এখন করতে পারি; সউদী কামলা আর দেশি রিকসাওয়ালাদের পীরে কামেল মাওলনা ইলিয়াস দাঈ-ইলাল্লাহু বাংলাদেশরে বসাই স্বরাষ্ট ও আইন উপদেষ্টা করিয়া আর মাওলানা পিনাকী রা. কে বসাই প্রধান উপদেষ্টা করিয়া। এরপর দেখিব বেম্বুর বাইচ্চা তোরা কার পোঁদ কয়বার.... ”
এরপর সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নবানে জর্জরিত নজরুল “স্যাটার কুইয়েশচন করেছ” বলে একটা নীল রঙের পোর্শেতে করে চলে যান৷