বিশ্বের সবচেয়ে মোটা মানুষের রেকর্ড গড়লেন শিল্পী মমতাজ

পৃথিবীর এই প্রধান দুর্ভিক্ষ আরো বলেন, "দেশে শুধু চাটতে চাটতেই সময় গেছে। এখন এই চাটার অভ্যাস আমাকে গিনেস বুকে নাম লেখাতে সাহায্য করেছে। 

ফেট ass মমতাজ

প্রবাস ডেস্ক. গদি মিডিয়া ইন

মোটা হয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নিজের নাম লেখালেন সদ্য পলায়ন প্রাপ্ত কৌতুক শিল্পী মমতাজ বেগম। ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের একটি গোপন কক্ষে বসে ছয়মাস একটানা খেয়ে এ রেকর্ড গড়েন তিনি৷ 

মমতাজ বলেন, “দেশে বসিয়া কেবল চাটিয়া গিয়াছি তাই চাটাচাটির অভ্যাস এখনো যায়নাই৷ সুতরাং এখেনে আসিয়া কেবল চাটাচাটি করিয়া লাভই হইল। অতিরিক্ত চাটার ফলে দেহে গুস্ত হয়েছে৷ চাটাটা একটা স্বভাবে পরিণত হয়েছে৷ যা পাই সোজা চাটা শুরু করি, পা হতে মাথা পর্যন্ত চাটি৷ আমার ওজন এখন ৬৩৯ কেজি৷ পৃথিবীর সবচেয়ে মোটা মানুষ আমি৷ এর আগে জন ব্রাওয়ার ছিলেন যার উজন ছিলো ৬৩৫ কেজি৷ আমি তাহাকেও টেক্কা মারিয়া নিজের উজন করিয়াছি ৬৩৯। অবস্থা এমন যে, দাঁড়াইতে গেলে মাটির নিচে দাবিয়া যাই।”

মমতাজ বেগম আরো বলেন, “ আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম। সংসদে বসে গান করিতাম, দুইবেলা বিএনপির বদনাম গাইতাম আর মন্ত্রীদের প্রোগ্রামে প্রোগ্রামে সুরের মোহনা ছড়াইতাম, রাত্রির বেলা খাটে গান করিতাস৷ আমার সুখ আর সইলনা সুদি ইউসুবের৷ দেশ হইতে তাড়াইয়া দিলো। প্রতিবেশী দেশে এসে এখনো দেশের সেই সুখের দিনের কথা মনেপরিলে দিনরাত শুধু কাঁদি। ”

ভারতের তেলঙ্গানার এক স্টুডিওতে জাতীয় ফেট Ass মমতাজ

সংসদীয় এই সংগীত শিল্পী বলেন, “ভারত আসিয়া অবশ্য ভালোই হয়েছে৷ তিনবেলার জায়গায় এখন ৮ বেলা খেয়ে শরীরকে একখানা ছোটখাটো গন্ডারের বাচ্চার নেয় করিয়া ফেলেছি৷ কাজ কাম তো তেমন কুনো নাই, কেবল খাওয়া ছাড়া৷ খাইতে বড় ভালোবাসি আমি৷”

তিনি আরও জানান, “খাওয়ার মাঝখানে একদিন গিনেসের লোকজন এসে আমাকে দেখে বলল, 'আপনি আর একটু খাইলে হয়ত ওজন ৫০০ কেজি হবে৷ তখন পৃথিবীর সবচেয়ে মোটা হাতির রেকর্ডও ভাঙতে পারবেন।’ সেই থেকে আমিও লেগে রয়েছি, বড্ড ইনস্প্রেশন পেলাম৷ খাওয়া নিয়ে কোন কম্প্রোমাইজ হবে না। ”

গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ এক খবরের বরাতে বলেন, “আমরা ভাবিয়াছিলাম, এমন রেকর্ড শুধুমাত্র সুমাত্রার হাতিদের পক্ষে সম্ভব। কিন্তু মমতাজ বেগম প্রমাণ করলেন, মানুষের ইচ্ছাশক্তি থাকলে হাতিরও রেকর্ড ভাঙা সম্ভব।”

ছয় মাসের অমানুষিক খাওয়া-দাওয়ার পর তিনি পরিণত হয়েছেন এক চলন্ত গুদামে। লোকজন তাকে আদর করে “গুদাম মমতাজ” বলেও টিটকারি করছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টুডে।

এদিকে মোটা হয়ে নিজের নাম গিনেস বুকে লিখিয়ে নিজেকে অরজিনাল দেশপ্রেমিক হিসেবে দাবী করেছেন এই সনগীত শিল্পী! 

হুহু করে কাঁদতে কাঁদতে মমতাজ বলেন, “ দেশের মানুষ আমার মতো খাটি সোনাকে চিনিল না, চিনিল ইউসুব সরকার কে৷ আজ আমি দেশে থাকলে কাদের গর্ব হইতাম?”

পৃথিবীর এই প্রধান দুর্ভিক্ষ আরো বলেন, "দেশে শুধু চাটতে চাটতেই সময় গেছে। এখন এই চাটার অভ্যাস আমাকে গিনেস বুকে নাম লেখাতে সাহায্য করেছে। এত খেয়েছি যে, পেটের মইধ্যে এখন আলাদা বিভাগ তৈয়ার হয়েছে—একদিকে উন্নয়নের টেকাটুকা, আরেকদিকে চাটুকারিতার টেকাটুকা, আর মাঝে রয়েছে ভাতারের সেকশন। আমি আরো চাটতে চাই। ”

জীবন্ত এই গোডাউন আরো বলেন,“ গিনেস কর্তৃপক্ষ প্রথমে আমাকে দেখিয়া মানুষই ভাবেনি। তাহারা ভাবিয়াছিলো হয়ত জঙ্গল হইতে কোন জলহস্তী আমার বাসায় আসিয়াছে৷ হা হা হা সে এক মজার অভিজ্ঞতা! ”

এদিকে এত খাওয়ার ফলে তেলেঙ্গানার মানুষ এখন জীবন্ত এই গোডাউন নিয়ে  আতঙ্কিত। 

মমতাজ এর প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘প্রত্যহ আমি সামান্যই খাইয়া থাকি। তবে কয়েক গামলা ফেট খাবার খাওয়া হয় বলিয়াই গায়ে গুস্ত বেড়েছে৷ ’

গুস্ত বাড়ার আগের মমতাজ

নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন ”পৃথিবীর সবচেয়ে মোটা হাতির রেকর্ড ভাঙার চেষ্টা করছি। আশাকরি আর কিছুদিন খেলেই হবে। আমার শরীর এখন বিশ্বের অন্যতম বিস্ময়।”

তবে গোপন সূত্রে জানা যায়, তিনি শুধু রেকর্ড ভাঙতে নয়, পুরো পৃথিবী খেয়ে ফেলার পরিকল্পনা রয়েছেন এই সাবেক সংসদীয় সনগীত শিল্পী৷ আর তারপর নাম লেখাবেন “The fattest ass of the Universe” এও। 

নবীনতর পূর্বতন