চরমোনাই সরকার গঠন করলেই ভাল: ফখা

চরমোনাই পীরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মির্জা বাড়ির এই বড় সন্তান বলেন, “হুজুরের সহবতে ভালই লাগছে৷ এখন শিখে নিচ্ছি কিভাবে এক বাটা জর্দ্দা একটি পানে খাইয়া কি করিয়া টিকিয়া থাকা যায়৷

পীরানে পীর রেজাউল করীমের সাথে মির্জা বাড়ির বড় গৌরব ফখা

গদিবেদক. গদি মিডিয়া ইন 

২৭ জানুয়ারি পীরে মুকাম্মেল পিরানে পীর, বরিশালের কৃতি সন্তান জর্দ্দা খাওয়া প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারী, বাংলাদেশ পান-জর্দ্দা কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক, হযরতে মাউলানা উলাল্লাম, দাঈ ইলাল্লাহে বাংলাদেশিয়া রেজাউল করীম জিন্দা পীর সাহেবের সাথে মিটিং করেছেন বিএনপির সর্বতেগি সন্তান, ফাহাম পাদের শ্বশুর জামায়াতে ইসলাম বর্জনকারী প্রথম বাংলাদেশি, মির্জা বাড়ির বড় গৌরব, তেগেই সুখী ফখরুল ইসলাম আগুনগীর ওরফে ফখা বিন চখা৷

আরও দেখুন:

জামায়াত তুমি কার— বিএনপি নাকি চরমোনাইর?

সরকার বিএনপিকে যৌন হয়রানী করছে: ফখা

আনন্দে হাসতে হাসতে মিটিং প্রসংগে ফখরা বিন চখা বলেন, “ষোলটি বছর অনেক কেঁদেছি, এখন খিলখিল করিয়া হাসিবার সময় হইয়াছে৷ আমি হাসব, আমি হাসতে চাই, এখন আমার সুখের সময়৷ অনেক পেয়েছি কষ্ট আর আমি পেতে চাই না৷”

 হা হা করে হাসতে হাসতে বিএনপির এই দুঃসময়ের দূর্যধোন বলেন, “ 

কুতায় পেলুম এমন হাসি?

যে হাসিতে জোছনা ঝড়ে!

যেই হাসির আলোক বরণ

ঝলমলিয়ে মর্ত্যে পড়ে।

আজ রাজনৈতিক অঙ্গনে আমার হাসবার সময় এসেছে৷ ওদায়বুল পাদেরদের কাঁদবার সময়, পাদেরকে এখন হেজাক লাইট জ্বালিয়েও খুঁজিয়া পাইনা। গত পনের-ষোল বৎসর আওয়ামিলীগই কেবল পীরানে টীর জর্দ্দা পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম দাঈ ইল্লাহ বাংলাদেশিয়ার সংগে আলাপ করিবার চান্স পাইত৷ এখন সে সুযোগ আমার হাতে৷ মরবার আগে কেবল হুজুরের সাথে এই একটা মিটিং করারই ইচ্ছা ছিলো আমার৷ ভাগ্যের খেলায় আজ সে স্বপ্ন পূরণ হইল৷”

চরমোনাই পীরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মির্জা বাড়ির এই বড় সন্তান বলেন, “হুজুরের সহবতে ভালই লাগছে৷ এখন শিখে নিচ্ছি কিভাবে এক বাটা জর্দ্দা একটি পানে খাইয়া কি করিয়া টিকিয়া থাকা যায়৷ কি করে পিনিক ছাড়াই মঞ্চে উঠে মুখভর্তি পান নিয়া সামনে বসা শত্রুলীগের দিকে পিক ছুড়ে শত্রুলীগ চিহ্নিত করা যায়। শুনেছি হুজুরের একটি কোর্স রয়েছে, ‘সঠিক পরিমাণে জর্দ্দা দিয়ে কিভাবে পান খাওয়া যায়’ এই কোর্সটি করার ইচ্ছা পোষণ করছি৷ বাকিটা হুজুরের মর্জি৷ জামায়াত গত ২১ তারিখে হুজুরের কাছ থেকে সঠিক নিয়মে জর্দ্দা প্রয়োগের কোর্স করল, আমরা কি ভাসিয়া আইসছি?”

রেজাউল করিম কে সরকার প্রধান সমর্থন করে ফখা ইবনে চখা বলেন, “কষ্ট তো কম পেলাম না দেড়যুগ, আর কষ্ট পাইতে চাই না৷ এখন কেবল খাব আর টইলেট যাব। এখন চাই নিজেদের লোক সরকার গঠণ করুক৷ চরমোনাই হুজুর তো আমাদেরই লোক। তিনিও মুসলমান, আমিও৷ মোরা একই বৃন্তে ফুটিয়া থাকা দুইটি জমজ ফুল৷”

নিজেও ইসলামিক মাইন্ডের স্বীকার করে ফখা আরো বলেন, “ আমি নিজেও মুসলমান৷ উয়াজ মাহফিল শুনি। জেহাদের জন্যও মন কেমন কেমন করে। কেবল বয়স বাড়িয়া গিয়েছে বলে সরাসরি জিহাদের ময়দানে যাইতে পারি না৷ পাঁচ অক্ত নামাজ না পড়িলেও জুমুয়া মিস করিনে৷ তাই চাই ইসলামপন্থী চরমোনাই হুজুর সরকার গঠণ করুক, আমাকে কেবল ধর্ম মন্ত্রী করিলেই হইবে৷ সারাদিন কেবল আল্লা-খোদার নাম করিব আর উয়াজের ময়দানে গিয়ে বক্তব্য দান করিব।  আমি পৃথিবীতে আর কিছু নয় কেবল ধর্মমন্ত্রী হতে চাই৷ চরমোনাই সরকার গঠণ করলে তো ভালই।”

এদিকে ফখা বিনতে চখার এমন শেখার আগ্রহে আবেগ আপ্লুত হয়েছেন স্বয়ং জর্দ্দা রেজাউল।

 একটি পানে চুন মাখতে মাখতে তিনি বলেন, “এ মনু বোজ্জো? হেইয়া মনু বোজ্জো? ”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন