এক গুবন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, ১৮ই ফেব্রুয়ারী সারাদেশে হরতাল দেয়ার মাধ্যমে সাবেক স্বৈরাচার মুজিব কন্যা চুরে আওলাদ শেখ হাছিনা ইউসুব সরকারকে টপকে দিতে পুনরায় ফিরে আসছেন।
![]() |
চিত্র: সাবেক স্বৈরাচার চুরাছিনা |
জ্যেষ্ঠ্য গদিবেদক.গদি মিডিয়া ইন
ফিরে আসছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নিষ্পাপ, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা, মহান মহিলা আউলিয়া, আঠেরো কোটি বাঙালির জননী, জাতীর পৈতা স্বৈরাচার মুজিব কন্যা, পীর বংশের হযরতে আলা সৈয়দ ময়লানা মুসাম্মৎ ফেছিবাদী শেখ হাছিনা গোপালগঞ্জিয়া৷
আরও পড়ুন
দেশে ফিরেছেন শেখ হাসিনা, থাকছেন কচু ক্ষেত ক্যান্টনমেন্ট
আমাকে তো খেয়ে দিয়েছে: খুনী হাছিনা
পালিয়ে ভারতে, এরপর বিয়ে! হাসিনা-মোদীর অপ্রত্যাশিত গাঁটছড়া
আসছে মাসের ১৮ তারিখ টাইম বুমা, ককটেল, লগি-বইঠা ও ইনডিয়ান গাণ্ডু সেনাবাহিনী সমেত হরতালের মাইধ্যমে ইউসুব সরকারকে টপকে দিতে আবারো ফিরে আসবেন বলে চুরাছিনার হুমকি সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে ফেসবুকের এক ফোনালাপ।
নাম না জানানোর ভিত্তিতে আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ওদায়বুল পাদের বলেন , “১৮ই ফেব্রুয়ারী সারাদেশে হরতালে গাড়ি ভাংচুর ও ইটপাটকেল মারার মাইধ্যমে জাতীর পৈতা বুঙ্গবুঙ্গ স্বৈরাচার মুজিব কন্যা চুরে আওলাদ, শান্তির হরিণ শেখ হাছিনা ইউসুব সরকারকে টপকে দিতে পুনরায় ফিরে আসছেন।
এক ফাঁস হওয়া টেলিফুনালাপে চুরাছিনাকে বলতে শোনা যায়, “বাংলাদেশকে ধ্বংস করিয়াছে ইউসুব৷ আমি করেছি উন-নয়ন আমার আমলে কুনো অশান্তি ছিলো না৷ হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি ছিলো৷ আমাকে টপকে সেই শান্তি নষ্ট করেছে ইউসুব৷ ইউসুবকে ক্ষমতা হইতে টপকে এমেরিকা পাঠাইয়া আবারো ঐ চেয়ার আমি দখল করিব৷ ”
হুহু করে কাঁদতে কাঁদতে সাবেক এই স্বৈরাচার বলেন, “আমার ঘর ভাঙিলো যেবা, আমি বাঁধিব তার ঘর৷ আমাদের সবকিছু ধ্বংস করিয়াছে এই ইউসুব৷ বঙ্গভবনে সেই হাছিনা- হাছিনা ঘেরাণ এখন আর নাই। ইউসুবের নেত্রীতে উহারা আমার ব্রা পর্যন্ত কাড়িয়া লইয়াছে৷ আমাদের ছাত্র সংগঠনকে জনগি সংগঠন হিসাবে সিলগালা করে বন্ধ করিয়াছে। অথচ ছাত্রলীগের আমার ছেলেরা ছিলো শান্তির অগ্রদূত।”
ছাত্রলীগকে শান্তির প্রতিক হিসেবে শান্তির ছেলে উল্লেখ করে বিতাড়িত এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “শিক্ষা-শান্তি-প্রগতির এক অলটারনেটিভ। আমি আদর করিয়া তাদের ‘ডাকি শান্তির ছেলে’৷ উহারা শান্তির পায়রা। প্রগতির ময়ূর পাখি৷ পেখম মেলিয়া সারাদেশে শান্তি পৌঁছেছে। কখনো কাহারো মনে কষ্ট দেয়নাই, ক্ষেমতার অহংকার উহাদের মধ্যে নাই৷ আপনাদের কি মনে নাই, কিভাবে কৃষকের কষ্ট লাঘব করতে পাকার আগেই তাদের কাচা ধান কাটিয়া তাদের উপকার করেছে৷ জায়গায় জায়গায় গাড়ি থামাইয়া পাঁচ-দশ টাকা চান্দা উঠাইয়া মসজিদ মাদ্রাসার উন্নতি করেছে৷ আমাদের এই ছাত্র সংগঠন আমার পিতার হাতে তৈরী এক শান্তির পায়রা৷ তাহারা শান্তির দূত৷ আত্মতেগি, কঠোর পরিশ্রমী। ছাত্রলীগের মতো এত নম্র ভদ্র , মার্জিত রুচির সংগঠণ এখনো বাংলাদেশে পয়দা হয়নাই৷”
এসময় সাবেক ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপোদি বেরিস্টার ছাদ্দাম হোসেনের নাম উল্লেখ করে হাছিনা বলেন, “আমার ছাত্রলীগের ছেলেরা যে শান্তির পায়রা তা ছাদ্দাম ছেলেটাকে দিয়ে বুঝেছি৷ এত অল্পভাষী, পুটুযোদ্ধা আমি ছাত্রলীগে দেখিনাই৷ ছাদ্দাম এ সংগঠণের বড় শান্তির ছেলে৷ ছেলেটা এখন গর্তে লুকাইয়া গর্তযুদ্ধ করছে। সেখান হইতো বের হইয়া ১৮ ই ফেব্রুয়ারী বড় শান্তির ছেলে ছাদ্দামের নেতৃত্বে আমাদের শান্তির ছেলেরা মাঠে নামবে, আর ইউসুবকে গদি হইতে নামাইয়া এমরিকা পাঠাবে৷ চেলেঞ্জ! আমাদের ছেলেরা এক লক্ষ্য ককটেল বানাইছে৷ উহা ১৮ তারিখ ১৮ লক্ষ ককটেলের টেকাটুকা পাঠাইয়াছি৷ ঘরেঘরে বুমা ফাটিবে৷ ”
![]() |
বড় শান্তির ছেলে ছাদ্দাম |
এত ককটেলের অর্থায়ন কিভাবে করলেন, প্রশ্নের জবাবে নিজের ব্যাংক ব্যালেন্স জিরো উল্লেখ করে জয়স্টিকের মা বলেন, “আমার কুনো বেংক বেলেনছ নাই৷ আমি একজন বেবসায়ী। ইনভেস্ট করি টেকা কামাই৷ টেকা জমিলে আবার ইনভেস্ট করি। ওয়ান এক্স বেইটে আমার অনেক টেকার ইনভেস্ট৷ ঐ টেকা জমাইয়া এই হরতালের ককটেল খরিদের পয়সা জুগিয়েছি৷ ”
১৮ তারিখে আওয়ামিলীগ হরতাল কোন অ্যাকশনে যাবে কিনা, এমন প্রশ্নে এক পুলিশ সদস্য বলেন, “এখনো সেরকম কোন নির্দেশ না আসলেও রাস্তায় শান্তির ছেলেদের দেখলেই স্যাটা ভাঙার এতটা নির্দেশ আসতে পারে৷ মানুষ এখনো আমাদের হাউয়ামিলীগ ভাবে, এইটাই দুঃখজনক৷ মানলাম আমরা হাউয়ামিলীগ, তবে লাঠি হাতে পিটাইবার মজা হইতে আমরা বঞ্চিত হইতে চাই না। পিটাপিটির মইধ্যে আলাদা একটা মজা আছে৷ ”
এদিকে বিতাড়িত, পলায়নকৃত সাবেক স্বৈরাচারী শেখ হাছিনা বা আওয়ামিলীগের কোন কর্মীকে মাঠে দেখলেই আরাদণ্ড দেয়ার আদেশ দিয়েছেন শাওনের স্টেইপ ডটার পতি আইনমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “গেঞ্জাম দেখলেই শাউয়া ভাঙ্গা দিন, উহাই এখনকার মেডিসিন৷ ”