তিতুমীর কলেজ কে ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ ঘোষণা

“কুনো গেঞ্জাম নয় আন্দুলনেই পাশ হয়” 

শিক্ষা উপদেষ্টা মাহমুদ

গদিডেস্ক. গদি মিডিয়া ইন 

অবশেষে বিশ্বের সবচেয়ে হিডেন টেলেন্ট খেত, ঢাকার মহাখালী ফেলাইওভার সংলগ্ন গুলশান ও না বনানী ও না, এর মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান রত সরকারি তিতুমীর কলেজ কে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা দিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়৷ 

“কুনো গেঞ্জাম নয় আন্দুলনেই পাশ হয়” এমন বক্তব্য মুখে এগিয়ে যাওয়া তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা গত কয়েকদিনে অনসনের অস্কার জয়ী অভিনয় করে রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায়ও মাইন্ড করেনি ইউসুব সরকার৷ সরকার জানান, “ড্যাম ব্রো! ইটস কুউউল! এরপর থেকে তোমরা এগিয়ে গিয়ে হাতিরঝিল, শ্যামলীর রুডও বন্ধ করে দিও আমরা কিছু মনে করব না৷ ”

আরও পড়ুন

তিতুমীর কে পৃথিবীর সেরা কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি ‘টিএইচই’ এর

সরকার জানায় অনসনকারীদের রাগ ভাঙাতে সরাসরি এমেরিকা থেকে আসছেন বড় পাছা খেত রেপ সংগিত শিল্পী নিকি মিনাজ৷ গোপন সূত্রে জানা যায়, নিজের পুটু দুলিয়ে মিনাজ ছাত্রদের রাগ ও দীর্ঘ অনসন ভেঙে তাদের চাঙ্গা করে ঘরের ছেলে ফিরিয়ে দিয়ে আসবেন৷ 

চিত্র: বড় পাছা খেত রেপ সনগীত তারকা নিকি মিনাজ

একটি বিবৃতিতে বর্তমান সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “আমরা তাদের দাবী মানিয়া লইয়াছি, আই লাভ ইউ৷ তিতুমীর কে আমরা ইনুভার্সিটি হিসেবে স্বীকার করলাম৷ আগে যদি জানতাম, তিতুমীরে এত হিডেন টেলেন আছে তাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আগেই তিতুমীর কে বিশ্ববিদ্যালয় করার অনুমতি দিতাম। আমি ভেবেছিলাম কুন ছুটকা-ফুটকা গাঞ্জাখোর-ডেন্ডিখোর তিতুমীরে ভর্তি হয় কিন্তু না; এখানের ছাত্রদের সিজিপিএ চেক করে আমি বেক্কল বনে গেলাম! তাহারা ডেন্ডিমেন্ডি একটু আধটু খাইলেও পড়ালিখায় উস্তাদ। আমাদের কমেডি মন্ত্রী আল্লামা ফারুকীর চেয়ে অন্তত তাহাদের একাডেমিক সাট্টিফেট বেশি আছে৷ শুধু ফারুকী কেন এমন সিজিপিএ হার্ভার্ডেও নাই চেলেঞ্জ। ”

তিতুমীর কলেজের স্টুডেন্টদের ভূয়সী প্রসংশা করে ওয়াহিদ বলেন, “তিতুমীরের একেকটা ছাত্র রত্ন৷ তিতুমীরিয়ানদের মতো এত ঘনঘন আন্দুলন ইতিহাসে এখনো কেউ করকে পারেনি৷ তারা আমাদের ইতিহাস পাল্টে দিয়েছে, রাজনীতিতে নিয়ে এসছে নতুন মোড়৷  এযেন গোবরে ফুটা পদমো ফুল৷ অনসন কারীদের চাঙ্গা করতে বিদেশ থেকে আমরা নর্তকী আমদানির প্রসেসিংয়ে রয়েছি৷ দুই একটা ডেন্স দিলেই নেতিয়ে পরা অনসন কারীরা আবারও এনার্জি ফিরিয়া পাইবে৷ ”

এদিকে আন্দুলনে অনসন করা ছাত্রদের নিয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন কথা বলছেন৷ কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, তাহাদের হাতে যতটুকু সেলাইন দেখা যায় পরের দিন এসেও ততটুকুই সেলাইন দেখা যায় কিভাবে? স্যালাইন কি তাহাদিগের শরীর ফুটো করা দেয়া হয়েছে? যদি শরীর ছিদ্র না হয় তাহলে পুটুর সয়ংক্রিয় ছিদ্র দিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন অনেক সতীর্থরা৷ 

কেউ কেউ অনসনকারীদের চিকেন খিচুড়ি খেতে দেখেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন৷ তবে সবকিছু উড়িয়ে দিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “আমরা তাদের আন্দুলন মানিয়া লইয়াছি৷ লাইনে আসুন৷ আন্দুলন বাদ দিন৷ এখন থেকে আপনাদের তিতুমীর আর কলেজ নয় বিশ্ববিদ্যালয়।” 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন