ঈদের পরে নির্বাচন না দিলে কঠর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি বিএনপির

আবেগঘন কণ্ঠে ফখা বলেন, “আমরা যাহারা দেশে বসিয়া সরকারের জেলে বসিয়া ফাইভ স্টারের জীবন কাটাইছি উহাদের দুঃখ কেবল মেডামের বড় ছেলে খাম্বা বুঝল না। 

জেষ্ঠ্য গদিবেদক. গদি মিডিয়া ইন 

ঈদের পরে ইসুব সরকার নির্বাচন না দিলে কঠর আন্দলনে যাওয়ার হুশিয়ারি দিলো বিএনপির আপদকালীন মহাসচিব, বিগ আওয়ামিলীগার খেত, ওদায়বুল পাদেরের তর্ক বন্দু, মির্জা বাড়ির বড় শয়তান মির্জা ফখরুল ইসলাম আগুনগীর ওরফে ফখা ইবনে চখা। 

আজ ঈদের নামাজের খুতবা চলাকালীন এ বিবৃতি দেন তিনি। 

ইউসুব সরকার বিরধি বিপ্লবী ফখা গুয়েভরা

ইসুব সরকারকে কঠোর হতে কঠোর হস্তে দমন করার হুশিয়ারি দিয়ে রাজনীতির এই ট্রাম্প কার্ড বলেন, “ইসুব সরকার ঘুঘু দেখেছে ঘুঘুর পুটু দেখেনি৷ বিএনপি যে কতটা ভয়নকর হতে ভয়নকর জিনিস উহা হাসিনা পনেরটি বচ্ছর টের পাইয়াছে! প্রতি বছর ঈদ আসিলেই হাউয়ামিলীগ সরকারকে আন্দুলনের হুমকিধামকি দিয়া একটা ভয়ে রাখিতাম। এই হুমকির ফলেই উহাদের পতন হইয়াছে। ”

আবেগঘন কণ্ঠে ফখা বলেন, “আমরা যাহারা দেশে বসিয়া সরকারের জেলে বসিয়া ফাইভ স্টারের জীবন কাটাইছি উহাদের দুঃখ কেবল মেডামের বড় ছেলে খাম্বা বুঝল না। কই একবারও উহাকে নির্বাচনের কথা বলিতে শুনিয়াছেন? অতচ আমাদের অভুক্ত কুকুরছানাগুলো এখনো ভালো করিয়া খানাপিনা না পাইতে পাইতে উহাদের পিঠের সাথে পেট লাগিয়া নেড়ি কুত্তার মতো চিহারা হইয়া রহিয়াছে৷ আমি বড় গুন্ডেকে বলতে চাই, এখনো সময় আছে ইউসুব সরকারকে নির্বাচন লইয়া চাপাচাপি শুরু করুন নতুবা আজীবন লনডন থাকিয়া পশ্চাতে লন্ঠন গুঁজিয়া ভিডিও কনফারেন্স করিয়াই শেষ জীবন অবদি কাটাইতে হইবে৷ ”

হুহু করে কাঁদতে কাঁদতে আগুনগীর বেক্ত করেন, “পনেরটি বছর ধরিয়া কুনো খানাপিনা নাই, বেংকে কুনো বেলেন্স নাই৷ সভা সমাবেশে দুইশর বেশি লুকলস্কার নাই৷ টেকা না থাকিলে কাহারো কুথায় দাম নাই। এত হুমকি দিলাম ইসুব সরকার গায়ই মাখিল না। আমাকে কি উহাদের ভাঁড় মনে হয়। টেকাটুকা না থাকলে অবশ্য সবাই'ই ভাঁড় মুনে করাটা অস্বাভাবিক কিছুই না। জীবনের চাইরা ভাগের পৌঁনে চাইর ভাগ শেষ হইয়া গেল কুনো মডেল চুখে দেখিলাম না। লুকজন সুগার ডেডি সুগান ডেডি করে, নিজে কখনো উহা হইবার স্বাদ গ্রহণ করিবার ভাগ্য হইল না। অতচ আমার বন্দু ওদায়বুল পাদের নুসরাত পাদিয়া ছাড়া দুপুরের ভাত খাইত না। সকল কিছুর মূলে এই নির্বাচন। সুতরাং ইসুব সরকার ঈদের পর নির্বাচন দিয়া আমাকে টেকাটুকা ইনকামের পথ খুলিয়া না দিলে তীব্র আন্দুলন শুরু হইবে৷”

চোখের পানি মুছতে মুছতে এই বিগ আওয়ামিলীগ বলেন, “ক্ষুধার রাজ্যে আকাশের চাঁদটাকেও মনে হয় চিকেন বডি কাবাব। আমি অভুক্ত, ইসুব সরকার বের্থ করিয়া দেওয়ার আগে নির্বাচন দিয়া আমাদিগকে শান্ত করুন। ”

এসময় মোনাজাতেও তাকে “নির্বাচন, নির্বাচন” বলে চোখের জল ফেলতে দেখা যায়। 

এদিকে নির্বাচনের বেপারে বিএনপির আরেক পান্ডা চিশতি বংশের সন্তান পাতা মঈনও ইসুব সরকারকে হুমকি ধামকি দিয়ে বলেছেন, “সময় আছে লাইনে আসুন। দেশে বিএনপি কেটেগরির গণতন্ত্র ফিরাইয়া আনতে নির্বাচনের বিকল্প কিছুই নাই। আমরা ক্ষমতার লুভ করিতেছি না। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখরো ইসুব সরকার হইতে কুনো পার্সেন্টেজ পাইলাম নহে। উহাই দুঃখের বিষয়। পার্সেন্টিজ পাইলে নির্বাচন আরো দুই তিন বৎসর পরে দিলেও কুনো দুঃখ থাকিত না। ”

চিশতিয়া বংশের গৌরব মঈনুদ্দিন চিশতি

চিশতিয়া বংশের গৌরবের সাথে সহমত জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ভারতে গুম থাকিয়াও লজ্জা শরমের মাথা খাওয়া চশমা পরা ছেলে চসমখোর সালাউদ্দিন। 

এক বক্তব্যে তিনিও ইউসুব সরকারের হাত পা ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দিয়ে বলেছেন, “অনেক দিন হইল মারামারি কাটাকাটি করি না। আপনারা জানেন, বিএনপি মারামারি ফালাফালি কাটাকাটি করার দল নয়। ইউসুব সরকার আমাদের বাইধ্য করিতেছে। দীর্ঘদিন ভারতে গুম থেকেছি।

গুমবয় সালাউদ্দিন 

হুহু করে কাঁদতে কাঁদতে গুমবয় সালাউদ্দিন বলেন,“দ্যাশে থাকিতে হাউয়ামিলীগের মাইর তো খাইয়াছিই, ভারতে থাকিতে দাদাদের গোয়েন্দাদের মাইর খাইয়াছি৷ মাইর খাইয়াছি আমি অতছ সেই পতিত স্বৈরাচার বিদায় হইবার পরে ক্ষমতা কি চুখে দেখিলাম না৷ সংসারে টানাটানি, খরচ চালাইবার মতো পয়সাও নাই। যদি মানুষ মুখ না চিনিত হয়ত ভিক্ষা করিয়া হইলেও সংসার চালাইতে পারতাম৷ আপনাদের ভাবী নতুন আইফুন না পাইয়া আমার খাটে ঘুমায় না। অতচ ফখরুল সাহেবের মতো যদি তলেতলে হাউয়ামিলীগও করতে পারতাম হয়ত সংসারে শান্তিটা অন্তত বজায় থাকিত। ”

ডিসেম্বরের নির্বাচন নিয়ে বিএনপির নেতৃত্বস্থানীয় আরো অনেক নেতাদের ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করতে দেখা গেছে। তবে আসলেই কবে নির্বাচন হচ্ছে এ বিষয়ে ইসুব সরকারকে জিজ্ঞেস করলে ইউসুব সরকারের সাবেক মুখপাত্র বলেন, “সবুরে লেওয়া ফলে৷ ”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন