গত তরশু এক বিবৃতিতে তিনি তার নিজের এমপি পদ ফিরিয়ে দিতে আদালত কে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “সবুরে তো লেওয়া ফলে বলেছেন, আর কত সবুর করিলে লেওয়া ফলবে?”
নিজস্ব গদিবেদক. গদি মিডিয়া ইন
এবার বগুড়া-৪ আসনের এমপি হলেন হিরো আলম
সম্প্রতি চলচ্চিত্র শিল্পী সাদেক বাচ্চুর ছেলে ইশরাক বাচ্চুর পক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হওয়ার রায় শোনালেন বিজ্ঞ আদালত৷ ২০২০ এর নির্বাচনে ইনডিয়ায় নির্বাসিত পতিত স্বৈরাচার শেখ হাছিনার আত্মীয় দুর্নীতির দুই দুয়ারি সার্টিফিকেটধারী মুজিব বংশের লোক তাপসকে অবৈধভাবে মেয়র ঘোষণা করা হয়৷
ইশরাকের এই রায় শুনে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে ইন্টারনেটের প্লেবয় খেত, সাবেক ডিশ বেবসাই, বিশিষ্ট সনগীত শিল্পী, ছিদ্র নায়ক, কবি, বুদ্ধিজীবী ও সাম্ফাদিক, রাজনীতির রজনীকান্ত বগুগার ছৈল আশরাফুল আলম সাঈদ ওরফে হিরু মলম।
গত তরশু এক বিবৃতিতে তিনি তার নিজের এমপি পদ ফিরিয়ে দিতে আদালত কে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “সবুরে তো লেওয়া ফলে বলেছেন, আর কত সবুর করিলে লেওয়া ফলিবে?”
এসময়ে আদালতকে হুমকি ধামকি দিতে দেখা যায় হিরু মলম কে।
হুহু করে কাঁদতে কাঁদতে রাজনীতির রজনীকান্ত বলেন, “ইশরাক যেহেতু মেয়র হইয়াছে আমাকে মেয়র না করিলে আদালত প্রেঙ্গনে হরতাল ডাকিয়া আদলতের ইজ্জত মারিয়া দেব৷”
অশ্রু মুছে পুনরায় আগুন ঝরা বক্তব্যে কবি ও জনমানুষ এই নেতা বলেন,“ হাইকুটের এই রায়ে প্রমান হইছে, সরকারের চোখে বিএনপি আর হিরো আলম এই দুই বুকের মধ্যে পার্থক্য মাত্র এক কুটি টেকার। অতছ আমরা জানি, ইশরাক আর আমার বুক কখনই সমান নহে। ইশরাক রাজনীতীর ময়দানে কেইরা নাইটলি, আর আমি আলম কিম কারদাশিয়ান। কিন্তু কথা সেটা নহে। কথা হচ্ছে সরকার ইশরাকের বুকে হাত দিয়া দিছে। অতছ আমরা আলম বাহিনী কি করতেছি? হাম লগ ত চীনা বাদাম চাবা রাহা হু। ২০১৮ সালেও হাম লগ চীনা বাদাম চাবা করতা থা, ২০২২ সালে ভি। এখন পযন্ত হাম চীনা বাদাম চাবাকে চলতা হু। এইভাবে চলবে না ভাইলগ। বুকের রক্ত দিয়া অধিকার আদায় করতে হবে। ফেয়ার নির্বাচন হইলে আজ আমিও এমপি থাকিতাম। অতচ আমাকে এমপি না দিয়া ইশরাকের বুকেই তাকাইল সরকার ”
এ সময় চারপাশে গুঞ্জন উঠলে জনতার নায়ক আশরাফ মলম নিজেকে সংশোধন করে বলেন, “এই বুক ঐ বুক নহে, শুধ বুক, স্তর নহে। রক্ত দিলে নিজের বুকের রক্তই দিতে হবে, আলমের বুক ওরফে সনগীত শিল্পী আলমের বুক অত সস্তা নহে। এই বিষয়ে সংশয়ের কুন অবকাশই নাহি মিলেংগে।”
সামনে কঠিন দিনের প্রতি ইংগিত করে কবি হিরেন্দ্রনাথ বলেন, “ডান বুক বাম বুক দুই বুকেই সরকার হাত দিয়া দিল। সামনে আরও কেসেও রায় হবে, অনেক অবৈদ নির্বাচনরন মামলায় সরকার বিএনপির পক্ষেই রায় পাঠ করিবে। সরকার বিএনপির অবশিস্ট বুকগুলুরেও হাতাফাই করিবে। যে করিয়াই হউক উহা ঠেকাইতে হবে। তা না হলে এনি বুলু টুকু ফালু প্রভৃতি নাবালকদের হাতে দেশের শাখার মালিকানা চলে যাবে।”
আলমের বুকের সংখ্যা দুই এর অধিক কেন, মিলনায়তনে এ প্রশ্ন গুঞ্জন আকারে ছড়িয়ে পড়লে রাগারাগি করে আলম বলেন, “ফেক্ট দিয়া আমার সুন্দর থিউরিটারে বরবাদ করতে চাও কেনে? চুপ করিয়া সীটে বসিয়া যা বলি শুন।”
অবিলম্বে এ যৌন হয়রানীর বিরুদ্ধে তিব্র আন্দলন গড়ে তুলার আহোভান জানিয়ে তিনি বলেন, “সরকার যা করছে, উহাকে বলে পক্ষপাত। কুন ইসলামী কানটৃতে তাহা করলে সরকাররে মাজা পযন্ত মাটিতে গাড়িয়া পাত্থর মারা হইত। কিংবা সরকাররে একশত দররা মারা হইত। দিনকাল যা পড়ছে, তাতে সরকাররে কিসাস করলেও কেহ আপত্তি করত না। কিন্তু আমরার দেশে সালা নাছারাদিগের প্রবর্তিত গনতন্ত্র চলে, তাই উহার আলকে আমার ফয়সালা একটিই।আমার এমপি পদ ফিরাইয়া দাও। ”
আবেগঘন কণ্ঠে আলম ইবনে মলম বলেন, “সরকারকে বিএনপি শাখার সংগে বিবাহ দিয়া দিতে হবে। নাহয় ইশরাকের এত প্রেম কেন?”
উল্লেখ্য, হিরু মলমের এমন হুমকিতে আদালত ভয় পেয়ে পাইখানা করে দেয়ার পরে হিরু মলমকে বগুড়া-৪ আসনের আপদকালীন এমপি হিসেবে রায় দেন।