গবেষণা বলছে, বিশ্বজুড়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের নতুন যুগের সূচনা!
বিজ্ঞানময় ভারত ডেস্ক. গদি মিডিয়া ইন
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক অবিশ্বাস্য আবিষ্কার করেছেন গবেষকরা। জানা গেছে, গরুর গোবরে এমন উপাদান রয়েছে যা স্কিন কেনসারের নিরাময় করতে সক্ষম। এই অভূতপূর্ব আবিষ্কারের ফলে বিশ্বজুড়ে চিকিৎসা এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল ডঃ জন ডেভিসের নেতৃত্বে এই আবিষ্কার করেছেন। তারা দাবি করেছেন, গোবরে থাকা একটি প্রোটিন "ক্যানসারোসিল" কেনসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে এবং সেগুলো ধ্বংস করতে সক্ষম। প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, এটি কেনসার চিকিৎসায় রেডিওথেরাপির চেয়েও কার্যকর।
এরকম আরও খবর:
গোমূত্রকে সবচেয়ে নিরাপদ পানীয় হিসেবে স্বীকৃতি!ডঃ ডেভিস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “গোবর এতদিন আমরা শুধু সার হিসেবে ব্যবহার করতাম। কিন্তু এখন এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে চলেছে।”
এই আবিষ্কারের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে গোবরের চাহিদা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। গোবরের দাম এখন এতটাই বেশি যে, ভারতের অনেক খামারি দুধের ব্যবসা বাদ দিয়ে গোবর বিক্রিতে মনোযোগী হয়েছেন। রাজধানীর এক গরুর খামারি জানান, “আগে গরুর দুধ বিক্রি করতাম। এখন গোবরের চাহিদা দেখে মনে হচ্ছে, দুধ সস্তা আর গোবর দামি!”
বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি ইতিমধ্যেই “গোবরোটেক্সিল ক্রিম” এবং “গোবর লোশন” বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া, স্পা এবং বিউটি সেন্টারগুলোতে “গোবরথেরাপি” সেবা চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।গবেষণার এই সফলতা নিয়ে দেশীয় রাজনীতিতেও আলোচনা শুরু হয়েছে। সরকার এটিকে “জাতীয় গৌরব” বলে অভিহিত করেছে। এক মন্ত্রী বলেছেন, “গোবর থেকে চিকিৎসার উপাদান পাওয়া আমাদের দেশের জন্য একটি বড় বিজয়।”
বিরোধী দল, তবে, এই আবিষ্কারকে রাজনৈতিক চাল বলে আখ্যা দিয়েছে। তাদের ভাষায়, “গোবর নিয়ে জনগণের দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা চলছে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এই আবিষ্কারকে স্বাগত জানিয়েছে এবং এর উপর আরও গবেষণার পরামর্শ দিয়েছে। তবে তারা সতর্ক করেছেন, গোবরের ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং পরিবেশগত প্রভাবের দিকেও নজর দিতে হবে।
গোবর থেকে স্কিন কেনসার নিরাময়ের উপাদান আবিষ্কার চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। তবে এটি জনগণের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হয়, তা সময়ই বলে দেবে। বিজ্ঞান এগিয়ে যাক, আর গোবর থাকুক তার গৌরবে।