ভারতের কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা এটিকে দেশীয় সংস্কৃতির বিজয় হিসেবে দাবি করেছেন।
![]() |
গোমূত্র পান | ছবি: ডব্লিউএইচও |
ডেস্ক রিপোর্ট. গোদিমিডিয়া ইন
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সর্বশেষ এক গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। বিজ্ঞানীরা গোমূত্রকে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ পানীয় হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এই ঘোষণার পরপরই ভারতের রাজনীতি থেকে সামাজিক মিডিয়া পর্যন্ত ঝড় উঠেছে।
গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, গোমূত্রে এমন কিছু রহস্যময় উপাদান আছে যা পান করার সাথে সাথেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং জীবনদশায় ‘আধ্যাত্মিক প্রভাব’ ফেলে।
আরও পড়ুন:
WHO-এর বিজ্ঞানী ড. সুদীপ এক বিবৃতিতে জানান,
"আমরা গবেষণায় দেখতে পেয়েছি, গোমূত্র শুধুমাত্র রোগ সারায় না, এটি মনের শুদ্ধতাও আনে। এটি পান করলে মানুষের অশুভ চিন্তা কমে যায়।"
প্রতিক্রিয়া:
ভারতের কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা এটিকে দেশীয় সংস্কৃতির বিজয় হিসেবে দাবি করেছেন। এক নেতা বলেন,
"এতদিন আমরা যা জানতাম, আজ বিশ্বও তা মেনে নিল। গোমাতা সবকিছু সরবরাহ করতে পারে—দুধ, সার, আর এখন নিরাপদ পানীয়।"
এদিকে, গোমূত্রের বাজার রাতারাতি আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। বিভিন্ন শহরে ‘গোমূত্র বার’ খোলা হয়েছে যেখানে বিভিন্ন ফ্লেভারের গোমূত্র পরিবেশন করা হচ্ছে—আদা, হলুদ এবং তুলসির মিশ্রনেও গোমূত্র পরিবেশন করা হচ্ছে । মানুষ কিনছে, খাচ্ছে এমনকি বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে।
বিরোধীদের অবস্থান:
বিরোধীরা বিশেষ করে মোল্লাগোষ্ঠী অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। এক বিরোধী নেতা মন্তব্য করেছেন,
"এখন হয়তো সরকার গোমূত্র কর বসিয়ে দেবে। শীঘ্রই এটিকে জাতীয় পানীয় ঘোষণা করা হবে!"
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
গোমূত্র নিয়ে বিশ্বজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এটিকে বৈজ্ঞানিক গবেষণার চরম তামাশা বলেছেন।
আরও দেখুন:
- গোবরে স্কিন কেনসার নিরাময়ের উপাদান আবিষ্কার
- TOI-700 e গ্রহে পাওয়া গেলো শিবলিঙ্গ!
- গোবর দিয়ে বানানো প্রথম পরমাণু বোমা ভারতের হাতে!
তবে আমেরিকার একটি কোম্পানি ‘Cow-Cola’ নামে গোমূত্রভিত্তিক পানীয় বাজারজাত করার ঘোষণা দিয়েছে।
![]() |
কাউ-কোলা | ছবি: ডব্লিউএইচও |
বিশেষজ্ঞরা যদিও সতর্ক করেছেন যে, গোমূত্র নিয়ে এ ধরনের প্রচারণা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ছাড়াই জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে। তবে এ নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছেই।
কেনসার নিরাময়ের উপাদান
গোমূত্রে এমন একটি অনন্য রাসায়নিক উপাদান পাওয়া গেছে যা ক্যানসার কোষ ধ্বংসে অবিশ্বাস্য কার্যকারিতা প্রদর্শন করেছে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এ বিষয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশিষ্ট গবেষক ড. গোর্দীপ চক্রবর্তী এবং প্রফেসর মুরারি গোবিন্দ। তাদের মতে, এই উপাদানটি কেবলমাত্র ক্যানসার কোষগুলোর বৃদ্ধি থামায় না, বরং সুস্থ কোষগুলোর কর্মক্ষমতা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।
ড. অনুপম গোস্বামী, যিনি এই গবেষণায় প্রধান রাসায়নিক বিশ্লেষক ছিলেন, জানান,
'গোমূত্রে যে উপাদানগুলো আমরা শনাক্ত করেছি, তার মধ্যে বিশেষত "গোক্যুরিন" নামক একটি যৌগ আছে, যা আধুনিক ওষুধের বিকল্প হতে পারে। এটি মানবদেহে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ক্যানসার কোষ নির্মূল করতে পারে।'
গবেষণা দলের অন্যতম সদস্য প্রফেসর চন্দন গোখলে বলেন,
'আমাদের গবেষণার ফলাফল পৃথিবীর চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটি বিপ্লব আনবে। আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে গোমূত্র ব্যবহার করে আরও জটিল রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।'
এই দাবির পর সামাজিক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। যদিও অনেকেই এটিকে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিহীন বলে সমালোচনা করছেন, তবু গবেষকরা তাদের দাবির পক্ষে আরও প্রমাণ হাজির করার আশ্বাস দিয়েছেন।