TOI-700 e গ্রহে পাওয়া গেলো শিবলিঙ্গ!

নাসার বিজ্ঞানী ড. রাচেল হোয়াইট প্রথম আবিষ্কার করেন ওই বস্তুটি। সেসময় তিনি বলেন, “এটা কি? মহাকাশে কি কোনো প্রাচীন সভ্যতা ছিল? এর মানে কি? তাহলে আসলেই কি এটা শিবলিঙ্গ? 

TOI-700 e গ্রহে আবিষ্কৃত হলো একটি শিবলিঙ্গ।
TOI-700 e গ্রহে আবিষ্কৃত হলো একটি শিবলিঙ্গ।

বৈইগান ডেস্ক.  গদি মিডিয়া ইন 

মহাকাশের বুকে যখন প্রাণের সন্ধান নিয়ে নাসা, ইসরো, এমনকি ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ESA) তাদের টেলিস্কোপ তাক করে রেখেছে, ঠিক তখনই ঘটে গেল এক অদ্ভুত ঘটনা। TOI-700 e গ্রহে আবিষ্কৃত হলো  শিবলিঙ্গ। এই খবর মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গেছে। বিজ্ঞানী মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ—সবাই এখন সেই শিবলিঙ্গের রহস্যে ডুব দিয়েছে।

নাসার বিজ্ঞানী ড. রাচেল হোয়াইট প্রথম আবিষ্কার করেন ওই বস্তুটি। সেসময় তিনি বলেন, “এটা কি? মহাকাশে কি কোনো প্রাচীন সভ্যতা ছিল? এর মানে কি? তাহলে আসলেই কি এটা শিবলিঙ্গ? আমরা এখনো একদম নিশ্চিত নই, তবে আবিষ্কারটি খুবই চমকপ্রদ।”

TOI-700 e গ্রহ
TOI-700 e গ্রহ

এদিকে, ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞানী ড. রাহুল মিত্র বললেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম, হয়তো কোনো গ্যাস বা এলিয়েন কোনো রকমের কৌতুক করছে! কিন্তু পরে নিশ্চিত হলাম, এটা কিছু অন্যরকম। সেখানকার ভূতত্ত্ব দেখে আমরা ধারণা করছি, এখানে কোনো দেব-দেবীর প্রভাব থাকতে পারে।”

অন্যদিকে, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ESA) তাদের গবেষণার তথ্য জানিয়ে বলেছে, “এই আবিষ্কারকে শুধু একটি বিজ্ঞানী কীর্তি হিসেবে দেখা উচিত নয়। এটা আমাদের কাছে নতুন এক চ্যালেঞ্জ, নতুন এক প্রশ্ন। শিবলিঙ্গের মতো প্রতীক পাওয়া, সত্যিই এক অনন্য ঘটনা।”

এখন সবাই জানতে চায়, সেই গ্রহে কি আসলেই কোনো সভ্যতা থাকতে পারে? নাকি এই আবিষ্কার কোন প্রাকৃতিক রহস্য? বিজ্ঞানী মহলে এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এখন চলছে তীব্র গবেষণা। তবে, শিবলিঙ্গের মতো ধর্মীয় প্রতীক পাওয়া যে মহাকাশ গবেষণায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, তাতে কোন সন্দেহ নেই।

TOI-700 e গ্রহে
TOI-700 e গ্রহ

এর পরিপ্রেক্ষিতে নাসা এবং ইসরো উভয়েই ঘোষণা করেছে, তাঁরা শিগগিরই ওই গ্রহে একটি গবেষণা মিশন পাঠাবে। তবে, কিছু বিজ্ঞানী আবার প্রশ্ন তুলছেন, “পৃথিবী থেকে হাজার হাজার আলোকবর্ষ দূরে, শিবলিঙ্গের উপস্থিতি কীভাবে ব্যাখ্যা করা হবে? সেই গ্রহে কি আমাদের পূর্বপুরুষদের কোনো প্রভাব ছিল?”

এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর না মিললেও, এই অদ্ভুত আবিষ্কার যে পৃথিবীকে এক নতুন আলোকে দেখাচ্ছে, তা বলাই যায়। বিজ্ঞানী মহলের পাশাপাশি, সাধারণ মানুষও আশা করছে, হয়তো একদিন তারা ওই গ্রহে গিয়ে দেবতার পূজা করতে পারবেন!

আরও পড়ুন:

পার্কার সোলার প্রোব সূর্যের বুকে আবিষ্কার করল জয় শ্রী রাম ধ্বনী!

মঙ্গলগ্রহ থেকে ভেসে আসলো “জয় শ্রী রাম” সিগন্যাল

মহাকাশে দেবতাদের ধ্বনি: নাসার অদ্ভুত আবিষ্কার!

গোবর দিয়ে বানানো প্রথম পরমাণু বোমা ভারতের হাতে!

নবীনতর পূর্বতন