বিজ্ঞেনী শম্ভূ পাল বলছেন, “এটি কেবল একটা বোমা নয়, এটি এক আধ্যাত্মিক মহাশক্তি
![]() |
চিত্র: গুবর |
বিশ্ব যখন প্লুটোনিয়াম, ইউরেনিয়াম নিয়ে গো-বেষণায় বেস্ত, তখন ভারত বের করেছে গুবর ও গোচনার সনাতনী রাস্তা—গুবর আর গো চনার সংমিশ্রণে তৈরি পরমাণু-বোমা! যার নাম দেয়া হয়েছে ‘গোরমাণু’।
বিজ্ঞেনী শম্ভূ পাল বলছেন, “এটি কেবল একটা বোমা নয়, এটি এক আধ্যাত্মিক মহাশক্তি, যা শত্রুকে ধ্বংস করার পাশাপাশি আশেপাশের এলেকার বায়ু বিশুদ্ধ করে, বাতাসে গুবরের ঘ্রাণ ছড়িয়ে দেয়! পরমাণু যেমন রেডিয়াম ছড়িয়ে বাতাস ও মাটি দূষিত করে, গোরমাণু তা করবে না৷ বরংচ গোরমাণু যে এলাকায় ফেলা হবে সে এলকায় গাছপালা বৃদ্ধি পাবে৷ পরিবেশ হবে সবুজ শেমল৷ ”
ভারতের বৈইগান শাস্ত্রীয় পন্ডিত বৈইজ্ঞানী গোমন চতুর্বেদী জানান, “আমরা দেখেছি, ইউরেনিয়াম-২৩৫ ফিশন হয়, কিন্তু তার লাগাম ধরতে নিউট্রন লাগে। আমাদের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, গরুর গোবরের বিশেষ উপাদান ‘গোম্যাট্রন’ নিউট্রন উৎপন্ন করে এবং চনায় থাকা “চনাট্রন” সেই বিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে একবার আগুন লাগলে বিস্ফোরণ হবে, কিন্তু ধোঁয়ার মধ্যে থাকবে পবিত্রতার সুবাস। গুবরের বিস্ফোরণে হয়ত আশেপাশের দু একটি মানুষ মারা যাবে তবে বেশিরভাগ মানুষই থাকবে জীবিত ।”
![]() |
গোবর দিয়ে বানানো কাউবয় ১ ও কাউরিন ২ |
ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগ ঘোষণা করেছে, “গতকাল রাজস্থানের থর মরুভূমিতে আমরা আমাদের প্রথম গো-বোমার সফল বিস্ফোরণ সম্পন্ন করেছি। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে থাকা সব মুল্লাদের চুরাই গোমাংস বিক্রেতার দুকান ধূলিসাৎ হয়ে যায়, অথচ আশেপাশের গরুগুলো অক্ষত থেকে যোগি আদিত্যনাথের ভাষায় “গোমাতা কি জয়” জয়ধ্বনী করে!
বিস্ফোরণের পর গো চনার ধোঁয়া চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ায় ভারতীয় গবেষকরা বলেন, “শুধু ধ্বংস নয়, এটি প্রাণায়ামের ক্ষমতাও বহন করে। এই ধোঁয়া শ্বাস নেওয়ার পর পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকজন বিজ্ঞানী “ওম” উচ্চারণ করতে শুরু করেন এবং তাদের মস্তিষ্কে গীতার শ্লোক স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রবাহিত হয়।”
NASA-এর প্রধান বিজ্ঞানী বলেছেন, “আমরা এতদিন ইউরেনিয়াম নিয়ে খেলছিলাম, অতচ ভারত গোবরের মধ্যেই নিউক্লিয়ার শক্তি খুঁজে পেয়েছে! আমরা আমাদের পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে ‘গোডার্ড স্পেস গোবর সেন্টার’ করতে চিন্তাভাবনা করছি।”
![]() |
গোবর ও গোচনা মিশ্রিত প্রথম পরমাণু অস্ত্র! |
চীন দাবি করেছে, “ভারতের গোবর-গো চনার গবেষণা আমাদের তিন হাজার বছর আগের পাণ্ডুলিপি থেকে চুরি করা! আমরা ইতোমধ্যে ছাগলের বিষ্ঠা ও মুগডাল মিশিয়ে ‘ছাগণু বোমা’ তৈরির গবেষণা শুরু করেছি!”
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়া ছিল সংক্ষিপ্ত: “আমরা এর প্রতিক্রিয়ায় উটের গোবর ও ছোলার ডাল দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর চিন্তা করছি।” তবে সাংবাদিকরা দেখতে পেয়েছেন, পাকিস্তানি বিজ্ঞানীরা এখন নীরবে ভারতের গরুর খোঁজ করছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খুব শিগগিরই তারা “গোবর-চলা সাবমেরিন” এবং “গো-ফিউশন যুদ্ধবিমান” তৈরি করবে। এক বিশেষজ্ঞ বলেন, “আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, যদি একটি সাবমেরিনের ইঞ্জিনে প্রতিদিন ৫০০ কেজি গোবর ও ১০০ কেজি গো চনা দেওয়া হয়, তাহলে সাবমেরিন দুই বছর টানা চলবে এবং চারপাশের পানিতে গোমূত্র মিশে অক্সিজেন উৎপন্ন হবে!”
বিশ্ব এখন আতঙ্কে! জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আমরা ভারতের এই নতুন অস্ত্রের বেপারে আলোচনা করব, কারণ এটি শুধু পারমাণবিক অস্ত্র নয়, এটি পবিত্রতাও ছড়ায়! একবার গো-বোমা ফাটলে চারপাশে মন্ত্রোচ্চারণের কম্পন সৃষ্টি হয়, যা মানুষকে স্বাভাবিকভাবে ধেনমগ্ন করে ফেলে।”
বিশ্ববাসী এখন ভারতীয় গো-নিউক্লিয়ার শক্তির দিকে তাকিয়ে। নতুন প্রজন্মকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, “গো-চনার বিস্ফোরণের পর বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় হচ্ছে নিকটস্থ গরুর ঘরে গিয়ে আত্মসমর্পণ করা!”