তবে কোন মামলায় তাকে কট দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশ বিস্তারিত কিছু না জানালেও মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, “শ্বাশুড়ি আম্মাকে একটু ক্ষেমতা দেখাইলাম
![]() |
হুমায়নের দ্বিতীয় গিন্নি শাওন |
ছাত্র জনতার নির্বাচিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের সৎ শ্বাশুড়ি, প্রয়াত জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের ছোট বিবি, একসময়ে আওয়ামিলীগের মনোনয়ন খরিদকারী, আওয়ামি মহিলা এম্পির কন্যা, আওয়ামিলীগ সাকার— ফেসবুক যোদ্ধা মেহের আফরোজ শাওন ধানমন্ডিতে কট খেয়েছেন৷ গত ৬ই ফেব্রুয়ারি গেয়েন্দা পুলিশ ধানমন্ডির এক বাড়ি থেকে তাকে কট দেন৷
তবে কোন মামলায় তাকে কট দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশ বিস্তারিত কিছু না জানালেও মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, “শ্বাশুড়ি আম্মাকে একটু ক্ষেমতা দেখাইলাম৷ শুনেছি ফেসবুকে তিনি আমার পিণ্ডি চটকান, মনে করেন আমার মনেহয় কুনো ক্ষমতা নাই৷ অথচ তিনি ভুলে মেরে দিয়েছেন, আমি এই দেশের পুলিশ প্রশাসন লাড়িচাড়ি — আমার হাতে এখন অনেক ক্ষমতা৷ আমি চাইলে বাংলাদেশের যেকুনো জায়গায় পুলিশ পাঠাইয়া একটা গেঞ্জাম বাধাইয়া দিতে পারি৷ আমি মূলত আমার আপন শ্বাশুড়ি মায়ের কথা রাখিতে তাহাকে গ্রেফতার করালুম। আম্মার বড় আশা ছিলো মরিবার আগে একবার চুন্নিকে জেলে পঁচিয়া মরতে দেখতে। এখন তিনি মরিয়াও শান্তি পাইবেন৷ ”
শাওনের ফেসবুক পোস্ট সম্বন্ধে মন্তব্য করে হো হো করে হাসতে হাসতে নজরুল বলেন, “ বউ আমার যেমন তেমন শ্বাশুড়ি মা কড়া! তাহার ফেসবুক আইডিতে কেবল আমাকে টিস্কানি ছাড়া বিশেষ কিছু নেই৷ যেহেতু আমাকে সে পাবলিকলি শেইম দেয় তাই তাহাকে গ্রেফতার করিয়া রিমান্ড মঞ্জুর করিয়া জেলে অন্দরে লাঠি হাতে ভয় দেখাইয়াই ছেড়ে দিবো।
শাওনকে গ্রেফতার করার পর তীব্র থেকে তীব্রতর প্রতিবাদ করেছেন বিদেশি গল্প হইতে টুপলি করিয়া বিজ্ঞানীর ভং ধরে থাকা টুপলি লেখক ও কলামিস্ট মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। নিজের ইয়ং ভাবীকে এমুনভাবে আতর্কিত হামলা করিয়া ধরিয়া নেয়ার প্রতিবাদে তিনি বলেন, “দেশে বাকস্বাধীনতা স্বাধীনতা বলিয়া হেদাইয়া পরা মানুষগুলো এখন কি বলবেন? জুয়ান বলিয়া আমার ভাবীকে এমুন নির্যাতনের মুখোমুখি হইতে হল — অথচ বয়সে বুড়ো হইলে আর ধরিত না, ছাড়িয়া দিত। তাহার এই বয়সটাই সরকারের লুনগী তুলিয়া আগুন জ্বালাইয়া দিলো। বাবারা তোমরা যারা শিবির করো, তুমরা আমার ভাবীকে নিয়ে খারাপ কমেন্ট করিয়া ফেসবুক ভরিয়া ফেলেছ৷ নীতি কোথায় আজ? নৈতিকতা কোথায়? সততা কোথায়? লিংক কোথায়?”
শাওনের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে তাহার একসময়ের বাল্য বন্দু শীলা আহমেদ বলেন, “চুন্নিটিকে অনেক ভাল জানতাম, প্রিয় বন্ধবি মনে করিয়া নুহাশ পল্লীতে নিয়া আসি৷ কে জানত আমাদের ঘরবাড়ি দেখিয়া উহার চক্ষু চকচক করিত? একসময় আমার মাতাজিকে বিচ্ছিন্ন করিয়া প্রিয় বান্ধবী হইতে সৎ মা হইয়া গেল৷ আমাদের সংসার খানখান হইয়া গেলো৷ এখন সুযোগ আসিয়াছে এই চুন্নিটিকে দেখিয়া লইব৷ তিনবেলা শুধু কথা না বলিয়া রিমান্ড চলিবে৷ ”
এদিকে শাওনকে গ্রেফতার করায় বেপক খুশি হয়েছেন শাওনের প্রক্তন সতীন গুলতেকিন আহমেদ। জানা যায় খুশির ঠ্যালায় হাজার খানেক মসজিদে মিলাদের বন্দবস্ত করেছেন প্রয়াত হুমায়ুন আহমেদের প্রাক্তন বড় স্ত্রী গুলতেকিন।