ঐ ইস্টাটাচের কমেন্টবক্সে জামায়াতে ইসলামি ও তার অঙ্গ সংগঠনের সবার মা-বোন তুলে গালাগালি দিতে দেখা যায় অনেককেই৷
![]() |
প্রধান গেলমান মাইক্রো আল্লামা জাহিদুল ইসলাম। |
জ্যেষ্ঠ গদিবেদক. গদি মিডিয়া ইন
সম্প্রতি ভেলেন্টাই দিবস কে বিজাতীয় সংস্কৃতি ও কাওয়ালী কে নিজস্ব সংস্কৃতি বলায় পাকিস্তানের পোঁদ বন্ধু, বাংলার সেরা সেকুলার —বৃহত্তর জামায়েতে ইসলামির অফিসিয়াল গেলমান খেত ছাত্র শিবির কে এক হাত পুটুর ভিতর ভরে দিয়েছে নেটিজেনরা৷
১৪ই ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক ভালোবাসা দিবসের বিরধিতা করে জামায়েতের অফিসিয়াল গেলমানদের পেজ থেকে লেখা হয় ‘ভেলেন্টাইন ইজ নট আওয়ার কালচার।’
আরও পড়ুন:
ছাত্র শিবির বেদাআত করেছে: শফিক পাদ
ঐ ইসটাটাসের কমেন্টবক্সে জামায়াতে ইসলামি ও তার অঙ্গ সংগঠনের মা-বোন তুলে অশোভন ভাষায় গালির অভিযোগ তোলে সংগঠনটি৷ ইসটাটাসের পরেই নিজেদের হাত শিবিরের পুটুর মধ্যে ভরে দেয়ার প্রকাশ্য ঘোষণা দেয় নেটিজেনরা৷
একজন লিখেন, “এগুলা কি ইংরেজি লিখছস চুদিরভাই? তুর আইএলটিএস পয়েন্ট কত?”
নেটিজেনদের তীব্র গালির স্রোত ও পুটুর ভেতর হাত ভরে দেওয়ায় চিন্তিত হয়ে পরেন বৃহত্তর জামায়েতে ইসলামির নায়েবে আমীর গেলমান সর্দার আল্লামা শফিক পাদ।
এক বিবৃতিতে হুহু করে কাঁদতে কাঁদতে শফিক পাদ গদি মিডিয়া কে জানান, “মানুষের ভাল করিতে নাই। ছাত্র শিবির মানুষের সামনে একটা একশ পারসেন সইত্য এসএমএস তুলে ধইরতে গিয়া আইজ গালাগালির স্বীকার৷ হিসাব করিয়া দেখুন, কাওয়ালী কুথা হইতে আসিল আর ভেলেনটাইন কুথা থেকে৷ পাকিস্তান হইতে আসিয়াছে কাওয়ালী৷ পাকিস্তান থেকে আসিয়াছে মানে কাওয়ালী একজন মুসলিম। পাকিস্তান একটি মুসলিম রাষ্ট্র৷ সেইখানে নব্বুই ভাগ মানুষ দ্বীনের খেদমত করে, জেহাদ করে। বুরকা পড়ে। মুসলমান মুসলমান ভাইভাই৷ সুতরাং তাহাদের সনগীত শুনিতে কুনো পাপ নাই৷ অতচ ভেলেন্টাইন ডে পয়দা হইয়াছে এহুদি নাসারাদের দেশে। ইতিহাস বলে, ভেলেন্টাইন বেভিচারের ফলে তৈয়ার হইয়াছে৷ এহুদিদের সংস্কৃতি মুসলমানদের জন্য নাজায়েজ৷ ছাত্র শিবির কি এমন কুন দুষ বলল? অতচ এই সইত্য কথায় এমন পোঁদ মারা দিলো যে পোঁদ মারিতেছে শিবিরের বেথায় উহু-আহা করিতেছি আমি৷ এই পোঁদ মারা আমার অব্দি আসিয়া ঠেকিল৷ ”
পোঁদ ডলতে ডলতে শফিক পাদ বলেন, “বাংলাদেশে সত্যের কুনো ভাত নাই৷ তাই আমি পুলাও খাই৷”
![]() |
ইংরেজিতে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেদের ইংরেজি স্কিল দেখাচ্ছে শিবির |
শফিক পাদের সাথে একমত হওয়ার কথা জানিয়েছেন বর্তমান শিবিরের প্রধান গেলমান মাইক্র আল্লামা জাহিদুল ইসলাম। এক ফেসবুক পোস্টে এই মিনি আল্লামা বলেন, “মানুষ আইজকা পাপে ডুবু ডুবু৷ বুঝে ঘেচু গালি দেয় বেশি৷ দ্বীন বুঝে না এমন পাপিষ্ঠরাই কেবল ভেলেন্টাইনের মতো এহুদি নাছারাদের কালচার নিজেদের কইবে। আসলে তো প্রেম ভালোবাসা হুগার বাল, সবই লিটনের ফিলাটে ঢুকাইয়া পোঁদ মারিবার তাল৷ আমি কি এসব বুঝিনা? দুই-চাইরটা বান্ধবী কি আমার নাই?”
রেগেমেগে কটকট করতে করতে জাহিদি পাদ। রাগে ফোসফাস করতে করতে তিনি বলেন, “ সকল আবাসিক হোটেলে খুঁজ লইলে বুঝিতে পারিবেন, আজিকা ফার্মেসিতেও ঈদের দিন; আমি বুঝিনা ভেলেন্টাইন নাকি চিকন পিনের চার্জার এটাস্ট করার চিন্তা! কুনো বিজাতীয় সভ্যতা চলবে না। বাংলাদেশ হইতে এহুদি নাসারাদের সকল পণ্য হটাইবো। আমরা ক্ষমতায় গেলে সকল এমেরিকান ওয়েবসাইট বেন করিব৷”
ভবিষ্যতে ফেসবুক বেন করার আশাবাদ বেক্ত করে এই গেলমান বলেন, “আমরা ক্ষমতায় আসলে প্রথমে এই এহুদির ছেলে জুকারের ফেছবুক বেন করিয়া একটি সহী ইসলামিক সুশাল নিটোয়ার্ক বানাইব৷ নাম দিবো ‘ঊনআশি বুক।’
‘ঊনআশি বুকে’র ফিচার তুলে ধরে তিনি বেখা করেন,
“৭৯ টি সাংগঠনিক বই পড়ার পরে কোন সাথী ভাই হাঁপাইয়া গেলে সেখানে ইসলামি ছাত্রি শিবিরের বুনদের সাথে প্রাণ খুলিয়া চেট করিতে পারবে৷ নিজের ঈমান দণ্ডের ছবি পাঠাইবে। রেস্ট্রিকটেড হওয়ার কুনো চিন্তা থাকিবে না, না থাকবে হাঁপাইয়া উঠার কোন চানছ হা হা হা! খুদা চাইলে সাইটটি হইয়া উঠবে শরীয়া ভিত্তিক হালাল এডাল্ট ডেটিং সাইট৷ সাইটে বিধর্মীদের জিজিয়া-কর দিয়া একাউন্ট করতে হবে।
জামায়েত ও শিবির বিরধীদের লক্ষ্য করে তিনি বলেন,
“ফেসবুকের মতো সেইখানে চাইলেই যা-তা বলা যাইবে না। জামায়েতে ইসলামি বিরধি কুনো বক্তব্য দিলে আইপি টিরাক করে খুঁজিয়া রগ কাটিয়া দিবো। ছেলেরা টাখনু গিড়ার নিচে পেন্ট পরিয়া ছবি দিলেই টাখনুর নিচ থেকে কাটিয়া ফেলার আইন চালু করিব৷ হিজাব ছাড়া ছবি আপলুড দিলে মহিলাদের একাউন্ট বেন করিব৷”
গুগল কে হুমকি দিয়া শিবিরের এই তেজি নেতা বলেন, “গুগলেরও ভাত মারিয়া দিতে গুগল সার্চের পরিবর্তে বানাইব ‘শিগল’ যেখানে কেবল সার্চ দিলে বৃহত্তর জামায়েতে ইসলামির ওয়েবসাইটই শো করিবে। তাছাড়া দুষ্টু ভিডিও বন্ধ করে ‘নিজামী হাব’ নামক সামাজিক ভিডিও সাইট বানানরও পরিকল্পনাও রয়েছে আমাদের। সেখানে ছাত্রি শিবিরের নেত্রীরা রিলস বানিয়ে আপলোড দিবে, আমরা দেখব। শিবিরের বুদ্ধিই হাইব্রিড, ছাত্রদল আমাদের সাথে অহেতুক পাঙ্গা নিতে আসে। এখন থেকেই ফেসবুক চালান বাদ দেন। ভবিষ্যতে আমরা ক্ষমতায় আসলে হয়ত এহুদি নাসারাদের ইন্টারনেটই বেন করিয়া দিতে পারি। তখন দুনিয়া খুঁড়িয়াও কোন বুকই আর চালাইবার থাকিবে না। ”
আবেগঘন কণ্ঠে মাইক্রো আল্লামা বলেন, “কয়েকজন কে দেখলাম, গালাগালি করিয়া আমাদেরই উল্টা দ্বীনের পথে আসতে বলতেছে। বলে, আমাদের নাকি নুমাজ নাই, রুজা নাই অহেতুক ইসলাম লইয়া বেবসা করি। বাংলাদেশের মানুষ বুঝে কম গালি দেয় বেশি৷ বেবহারে বংশের পরিচয়। বাংলাদেশে উচ্চ বংশ মর্যাদার কেউ নাই। বুঝতে হবে আমরা আগে একামতে দ্বিন কায়েম করব তারপর নুমাজ রুজা করা শুরু করব। এখনো নোমাজ আমাদের ওপর ফরজ হয়নাই৷ ইকামতে দ্বীন না বুঝিয়া বদ লুকেরা কিছু লিখলেই দেদারসে গালাগাল করে৷ গালাগাল করিয়া কি নুমাজ পড়ানো যায়? এ যেন গুয়া মেরে গরু দান! এখনো বলব, পাপ ছাড়ুন৷ লাইনে আসুন৷ ”