এই হামলার তীব্র থেকে অতি তীব্র, এক কথায় শ্যাটাভাঙা প্রতিক্রিয়া জানান গান্ডুগ্রাম বিধান সভার প্রধান গান্ডু পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির কর্ণধর শুভেন্দু অধিকারী ওরফে তেরো গান্ডুর প্রধান পান্ডা গান্ডু শুভেন্দু ৷
![]() |
বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে দেয়ার হুমকি শুভেন্দুর |
অনলাই ফেছিবাদী শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর প্রতিক্রিয়া হিসেবে বঙ্গবল্টুর স্মৃতি বিজড়িত ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার বাড়িতে হামলা ও আগুন দিয়েছি ছাত্র-জনতা।
হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে বাংলাদেশকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছে ইনডিয়ান মিডিয়া ও প্রশাসন বিভাগের হর্তাকর্তারা।
হামলাকারীরা বুঙ্গবুঙ্গর স্ট্যাচু সহ গুঁড়িয়ে দিয়েছে আওয়ামিলীগের নাম নিশানা যার প্রতিক্রিয়ায় আগুন জ্বলে উঠেছে আওয়ামী সমর্থক ও ভারতের মানুষদের পোঁদে পোঁদে৷
আরটিভি বাংলায় প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান চ্যানেলটির নিউজরুম এডিটর ময়ূরচোদ ঘোষ৷
![]() |
চিত্র: ময়ূরচোদ ঘোষ |
ময়ূরচোদ বলেন, “বাংলাদেশের আকাশে আজ দূর্যগের ঘনঘটা৷ বাংলাদেশ আজ জনগিতে পরিপূর্ণ, এই বাংলাদেশ আজ হয়ে উঠতে পারে ভারতের জন্য পাছার ওপর বিষফোঁড়া তাই এখনই সেখানে আমাদের গোবর-গোচণা প্রয়োগে তৈরী গোরমাণু বুমা হামলা করে সবকিছু গুঁড়িয়ে দিয়ে পাছার বিষফোঁড়াকে গলিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ নামক দেশটি মানচিত্র থেকে সড়াইয়া মানচিত্রটিকে ভারতের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হোক৷ ন মোর জনগি”
আরও পড়ুন:
এবার চাঁদের বুকে দেখা গেলো বঙ্গবন্ধুর মুখ!
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিও থেমে নেই৷ এই হামলার তীব্র থেকে অতি তীব্র, এক কথায় শ্যাটাভাঙা প্রতিক্রিয়া জানান গান্ডুগ্রাম বিধান সভার প্রধান গান্ডু পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির কর্ণধর শুভেন্দু অধিকারী ওরফে তেরো গান্ডুর প্রধান পান্ডা গান্ডু শুভেন্দু ৷
![]() |
চিত্র: গান্ডু শুভেন্দু |
এক প্রতিক্রিয়ায় বিজেপির এই গান্ডু প্রধান বলেন, “ গোবরই ভবিষ্যৎ, গোচনাই শক্তি৷ বাংলাদেশ অতিব ক্ষুদ্র এক দেশ, ও তো ভারতের এক প্রদেশ হিসেবেই চিনি আমরা৷ আদর করিয়া সেখানে হাসিনা দিদিকে বসাইয়া ছিলুম। হাসিনাকে অতি পছন্দ করি, চাইলে তিনি মমতা দিকে সড়াইয়া নিজেই পশ্চিমবঙ্গের শাসন নিজহাতে তুলে নিতে পারেন৷ আমার কুন আফসোস নাই। আমি তাহাকে দেবীরূপে পূজোও করি৷ সেই দেবীসম হাছিনা দিদিকে শাসন হইতে সড়াইয়া গরীব দেশের গরীব জনগণ কিনা কার্লপ্রিট ইউসুবকে বসাইয়াছে৷ যাক তাও মানিয়া নিয়া ছিলুম, কিন্তু আজকে কি হইল? দেবী মায়ের বাড়িতে এটাক করিয়া মন্দিরসম সেই বাড়িটাকে এভাবে ধুলায় মিশাইয়া দিলো! কেমুন দিল তোমাগো? তোমাগ কি একটু কষ্ট লাগে না?”
রাগে কাঁপতে কাঁপতে দু-একটা খিস্তি দিতে দিতে শুভেন্দু গান্ডু বলেন, “এসব জনগিদের নির্মূল করতে এখন বাংলাদেশে গোরমাণু হামলা করা হবে৷ আমাদের কাছে নানান কিসিমের বুমা রয়েছে, তবে বাংলাদেশ কে একদম নিশ্চহ্ন করতে আমরা পরমাণু নয় গোরমাণু বেবহার করব৷ আসলে বেবহারেই বংশের পরিচয়। আমরা হিন্দু, গো মাতাই আমাদের শক্তির উৎস৷ এখন যদি আমরা গোরমাণু বুমা না বেবহার করে ধুনফুন বুমা ইউজ করি বাংলাদেশ আমাদের আর ডরভয় করিবে না৷ বাংলাদেশ কে একটু ডর পাওয়াইয়া দিতে হইবে৷ আমাদের গোরমাণু ওয়ার হেডগুলো অত্যাধুনিক৷ ইউরিনিয়াম, প্লুটোনিয়ামের পরিবর্তে গুবর আর গোচনার মিশ্রণে আমরা এর আধুনিক এক বিস্ফোরক তৈয়ার করেছি৷ যা বাংলাদেশ বিনাশে এক সেকেন্ড সময় লইবে৷ সুতরাং সাধু সাবধান!”
মাথা চুলকিয়ে মৃদু হাসতে হাসতে ওপার বাংলার এই প্রধান পান্ডা বলেন, “এতদিন বিজ্ঞানীরা ইউরেনিয়াম ও প্লুটোনিয়াম নিয়ে মাথা ঘামাইয়াছে, কিন্তু আমাদের বৈইগানিকরা আবিষ্কার করেছেন, গোবর ও গো চনার মধ্যেই লুকিয়ে আছে পরমাণু শক্তির আসল রহস্য! গোমাতার আশীর্বাদে আমাদের মা শান্তিময়ির বিজ্ঞান ভক্ত শান্তির ছেলেরা এই যুগান্তকারী বুমা তৈয়ার করেছে। গরুর গোবরের বিশেষ উপাদান গোম্যাট্রিয়াম-৯২ ও গো চনার মধ্যে থাকা চনাট্রন-২৩৫ যখন একসঙ্গে নির্দিষ্ট মাত্রায় গরম করা হয়, তখন একটি নিয়ন্ত্রিত গোমানীয় নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া (GNR: Gaumatric Nuclear Reaction) শুরু হয়। এর ফলে যে বিশাল শক্তি উৎপন্ন হয়, তহা দিয়া অনায়াসেই ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহর ধ্বংস করা সম্ভব! আমরা পৃথিবীকে দেখিয়ে দেব। হাউ সুপা পাউয়ার ইজ ইনডিয়া”
![]() |
গোবর ও গোচনার মিশ্রণে তৈরী গোরমাণু যা কেবল ভারতের হাতেই আছে। |
তবে কবে নাগাদ বাংলাদেশে এটাক করা হবে সে বিষয়ে এখনই কোন মন্তব্য করবেন না শুভেন্দু৷
এ প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু বলেন, “কুনো একদিন, কুনো এক সময়ের কুনো এক বিকালবেলা৷ ”
৩২ নাম্বারে হামলার পর ডাইনিখেত চুরাছিনার ফাঁসকৃত কল রেকর্ড: